বছর তিনেক আগে ভারতে নারী আর পুরুষ ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি সমান করা হয়েছে। তবে বৈষম্য থেকে গিয়েছিল তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে। বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পর দেশটির নারী ক্রিকেটারদের কদর বেড়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে নারীদের ম্যাচ ফি দ্বিগুণ করা হবে।

আগে ঘরোয়াতে ওয়ানডে ম্যাচ খেললে একাদশে থাকা নারী ক্রিকেটাররা পেতেন ২৫ হাজার রুপি। এখন সেটা ৫০ হাজার রুপি করা হয়েছে। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে ভারতীয় বোর্ডের একটি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়সভিত্তিক নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
সে তুলনায় বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটারদের অঙ্কটা বেশ কম। কয়েক বছর আগেও ম্যাচ ফি ছিল মাত্র ১ হাজার টাকা! জাতীয় লিগ টি২০ খেললে এটাই ধরিয়ে দেওয়া হতো নিগার সুলতানা জ্যোতিদের হাতে। গত বছর থেকে ম্যাচ ফি বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এবারও বিসিএল খেলে সেই টাকাই পাচ্ছেন তারা। যদিও গেল নভেম্বরে তাদের বেতন ৩৫ শতাংশ বাড়িয়েছে বিসিবি। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ১৫ নারী ক্রিকেটার ছাড়াও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোট ৩৫ জনকে বেতনভুক্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা পুরুষ ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ বেতন পান ১০ লাখ, সেখানে জ্যোতিদের বেতন সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী ক্রিকেটাররা বেতন পান মাসে ৩০ হাজার টাকা। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললে লিটনরা যেখানে ম্যাচপ্রতি ২ থেকে ৮ লাখ টাকা পান, সেখানে জ্যোতিরা পান ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। ওডিআই খেললে ম্যাচ ফি ৩৬ হাজার টাকা, টি২০তে ১৮ হাজার টাকা।
ঘরোয়া ক্রিকেটেও নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি আকর্ষণীয় নয়। সম্প্রতি এনসিএল টি২০ খেলে পুরুষ ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি পেয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। নারী ক্রিকেটাররা (গত এনসিএলে) পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার টাকা! সেদিক থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললে ভারতের নারী ক্রিকেটাররা বড় অঙ্কের ম্যাচ ফিই পেয়ে থাকেন। একটি টেস্ট খেললে শুভমান গিলদের সমান ১৫ লাখ রুপি পান স্মৃতি মান্ধানারা। ওডিআই ও টি২০তে ছেলেদের সমান ৬ লাখ ও ৩ লাখ রুপি পান তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



