জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শাজাহানপুরে সুদের টাকা না পেয়ে ইট দিয়ে কান থেতলে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে মামলার আসামি মজনু মিয়া (৪৫) নামে এক দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়া গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী মামলার বাদি নাজমা বেগম (৪০)।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমা বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রায় তিন মাস আগে নিজের চিকিৎসার জন্য তিনি তার প্রতিবেশী মৃত কোরবান আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার কাছ থেকে সপ্তাহে ২ হাজার টাকা সুদ দেওয়ার শর্তে আট আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা নেন। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ২/৩ সপ্তাহে সুদের টাকা দিতে না পারায় গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার স্বামীকে মারধরে আহত করে মজনু মিয়া।
মারপিটের ঘটনায় মজনু মিয়াসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন নাজমা বেগম। ওই মামলায় র্যাব সদস্যরা মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারের এক দিন পরেই জামিনে মুক্ত হয় মজনু মিয়া। জমিনে মুক্ত হওয়ার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে মজনু মিয়া ফের নাজমা বেগমের বাড়িতে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
গালিগালাজের একপর্যায়ে তারা মামলা তুলে নিতে এবং দাদনের টাকা পরিশোধ করতে চাপ দেয়। অন্যথায় নাজমা বেগম ও তার স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় ওই দিনই লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তারপরও হুমকি ধামকি বন্ধ হয়নি। যেকোনো সময় মারধর কিংবা প্রাণনাশের ঘটনা ঘটাতে পারে।
এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান নাজমা বেগম। শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।