আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুরুত্বর খবর! মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম নেতা কিম জং-উন আর নেই। হংকং স্যাটেলাইট টেলিভিশন এমন খবর প্রকাশ করলেও উত্তর কোরিয়া থেকে নিশ্চিত করা হয় নি তাদের নেতার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে। যুক্তরাষ্ট্রও নিরপেক্ষ কোনো মাধ্যম থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারে নি। কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইথারে যখন নানা খবর ছড়িয়ে পড়ছে তখন উত্তর কোরিয়ায় একদল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে পাঠিয়েছে চীন।
কি জং উনের শারীরিক অবস্থা তারা নির্ধারণ করবেন বলে শুক্রবার রিপোর্ট করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ বিষয়ে নিউজউইককে পেন্টাগনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যেসব খবর প্রকাশ পাচ্ছে তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে নজর রেখে চলেছে। তবে এই সময়ে কিম জং উন মারা গেছেন এমন কোনো নিশ্চয়তা অফিসিয়াল চ্যানেল থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঐতিহাসিক আদর্শে এখনও উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী প্রস্তুত।
প্রতিরক্ষা খাতে বা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব পরিবর্তনের মতো কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের তথ্যপ্রমাণ এখনও নেই।
উল্লেখ্য, কিম জং উনকে সর্বশেষ জনসমক্ষে দেখা যায় ১১ই এপ্রিল পলিটব্যুরোর এক মিটিংয়ে। তবে ১৫ই এপ্রিল দেশের প্রতিষ্ঠাতা তার গ্রান্ডফাদার কিম ইল সাংয়ের জন্মদিনে তাকে অনুপস্থিত দেখা গেছে। সাধারণত এ অনুষ্ঠান কোনোভাবেই মিস করেন না তিনি। এ অবস্থায় গত সোমবার কানকথা ছড়িয়ে পড়ে যে, উত্তর কোরিয়ার নেতা গুরুত্বর অসুস্থ। তার হার্টের অপারেশন করা হয়েছে ১২ই এপ্রিল। দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক ডেইলি এনকে খবর প্রকাশ করে যে, অপারেশনের পর কিমের অবস্থা গুরুত্বর। এরপরই জল্পনা আরো ডালপালা বিস্তার করতে থাকে। উল্লেখ্য, ডেইলি এনকে হলো মার্কিন কংগ্রেসের অর্থায়নে চলা কিছু প্রতিষ্ঠাণের অন্যতম। তারা সিএনএনের একটি রিপোর্টের পাশাপাশি কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করে।
এসব গুজব মার্কিন গোয়েন্দাগুলো আমলে নেয়নি। গত মঙ্গলবার মার্কিন দু’জন কর্মকর্তা নিউজউইককে বলেছেন, কিম গুরুতর কোনো রোগে ভুগছেন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ সরকারি এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে খবর প্রকাশ করে যে, কিম জং উন অসুস্থ এমন কোনো অস্বাভাবিক ঘটনার খবর উত্তর কোরিয়া থেকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নিউজউইক দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করে নি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের অফিস থেকে বলা হয় তাদের কাছেও এ বিষয়ে কোনো খবর নেই। তবে কিম জং উনের এসব খবর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চীন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। প্রশ্ন তুলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্পও, যিনি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে প্রথম মার্কিন কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলোচনায় বসেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, সিএনএন এ নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা ঠিক নয়। তবে তিনি কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দিতে পারেননি। ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। ততটা ভাল সম্পর্ক যতটা থাকতে পারে। কিম জং উনের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। আমি আশা করি তিনি ভাল আছেন।
বিস্তারিত আসছে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।