দেশের প্রায় সব অঞ্চলের বাজারে আলুর দাম বেশ কমে গিয়েছে। এর ফলে অস্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছে কুড়িগ্রামের আলু চাষিরা। তারা তাদের উৎপাদনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলেছে ভিন্ন কথা।
তারা এবার আলু বিদেশে রপ্তানির সুযোগ দেখছেন। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মালয়শিয়া এবং নেপালে আলুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের আলু ঐসব দেশে রপ্তানি করা যেতে পারে এবং এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।
চাহিদার তুলনায় কুড়িগ্রামে অনেক বেশি আলু চাষ করা হয়েছে। বাজারে যোগান বেড়ে যাওয়ায় আলুর দাম হ্রাস করা হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন খরচের তুলনায় বেশ কম দামে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষকরা প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১২ টাকা হিসাব করে বিক্রি করছেন। এতে করে তাদের তেমন লাভ হওয়ার সম্ভাবনায় থাকছে না।
কৃষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় মালয়েশিয়া ও নেপালে আলু রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে। রপ্তানিকারকদের কাছে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। সরকারিভাবে আলু বাজারজাত করা গেলে ক্ষতি আরও কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
কুড়িগাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদা আফরীন বলেন, কুড়িগ্রামে চাহিদার তুলনায় অধিক আলুচাষ করায় বাজারে আলুর দরপতন হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু। তবে এখন আলু রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হবেন।
চলতি মৌসুমে জেলায় ৭১০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ করেছেন কৃষকেরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।