আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২ জন ছাড়াও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৯০৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪৫ জন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকাতে মালয়েশিয়ায় চলছে লকডাউন। ঘোষিত লকডাউনের আজ ১৪তম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ বেঁধে দেয়া এ আদেশ বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
প্রাণঘাতী করোনার কারণে সর্বসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ৫০ হাজার সদস্যর সমম্বয়ে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। বিনা কারণে ঘর থেকে বের হলেই করা হচ্ছে জেল জরিমানা। চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার অমান্য করায় এই পর্যন্ত হয়েছে ৮ শত ২৮ জনকে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশিসহ সকল প্রবাসী চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছেন। খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেক প্রবাসী।
বেশিরভাগ শ্রমিকদের কাছে নগদ অর্থ ফুরিয়ে গেছে। যার কারণে অনেকেই ধার দিনা করে চলেছে। সেদেশের অধিকাংশ কোম্পানির কাজ বন্ধ করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত লকডাউনের সময় বেতন পরিশোধের ঘোষণা দিলেও বেতন পাবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই বলছেন অনেকে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম নিয়েছে। অবৈধ অভিবাসীরা রয়েছেন বেশি দুশ্চিন্তায়। চলমান লকডাউনে প্রবাসীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের পরিবার।
অনেকেই টাকার না পাঠানোর কারণেই তাদের পরিবারের অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানালেন প্রবাসী জয়নাল। তিনি বলেন, আমি এতিম করে এসেছিলাম মালয়েশিয়ায় এখন টাকা না পাঠালে আমার পরিবার কিভাবে চলবে আর এখানে আমি কষ্টে দিনাতিপাত করছি। প্রবাসীদের পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা সহ মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বৈধ- অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।