আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালিতে একটি সোনার খনিতে সুড়ঙ্গধসে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এপি এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
সোনা খনির স্থানীয় কর্মকর্তা ওমর সিদিবে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘একটি শব্দ হওয়ার পর খনিতে ধস শুরু হয়েছিল। পৃথিবী তখন কাঁপতে শুরু করেছিল।’
গত শুক্রবার আফ্রিকার এই দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম কাউলিকোরো অঞ্চলের একটি স্থানে ওই সুড়ঙ্গটি ধসে পড়লেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে মৃতের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সুড়ঙ্গধসের ঘটনায় মারা গেছেন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ।
ওমর সিদিবে বলেন- ‘ওই মাঠে ২০০ জনেরও বেশি সোনার খনি শ্রমিক ছিল। অনুসন্ধান এখন শেষ। আমরা ৭৩ জনের মৃতদেহ পেয়েছি।’
তবে মালির খনিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বে কুলিবালি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, অস্থায়ী পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি।
এদিকে মালির সরকার ‘শোকগ্রস্ত পরিবার এবং মালিয়ান জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা’ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া খনির স্থানগুলোর কাছাকাছি বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলোকে নিরাপত্তার বিধানগুলো মেনে চলতে ও শুধু সোনার প্যানিংয়ের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় কাজ করতেও বলেছে।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মালিতে একটি সোনার খনিতে টানেলধসে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিবিসি বলছে, মালিতে খনির দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা। কারণ বেশিরভাগ খনি শ্রমিক সোনা খননের জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে থাকেন।
কুলিবালি বলেছেন, অননুমোদিত টানেল খননের বিরুদ্ধে খনি শ্রমিকদের দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাদের সেই পরামর্শ ‘অকার্যকর’ হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, তারা এই ঘটনার আরও তদন্ত করবে এবং বৃহস্পতিবার একটি দল ওই এলাকায় পাঠাবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম সোনা রপ্তানিকারক দেশ মালি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।