বিনোদন ডেস্ক: সেবা প্রকাশনীর বহুল পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বই ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা নিয়ে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিসের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ। কপিরাইট অফিসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও ইফতাবুল কামাল অয়ন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শেখ আব্দুল হাকিম ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করেন। সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে আবেদন দাখিল করেন।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই শেষে গত বছরের ১৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
ওইদিন রিট আবেদনের পক্ষে থাকা ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ বলেন, ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বই ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বই নিয়ে শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে কপিরাইট অফিস ২০২০ সালের ১৪ জুন রায় দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন কাজী আনোয়ার হোসেন।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৪ জুনের রায় এক মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। রুলে এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় কপিরাইট অফিসের ওই সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন, সংস্কৃতি সচিব, কপিরাইট অফিস, রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস ও কপিরাইট বোর্ড।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৪ জুনে এ বিষয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শেখ আবদুল হাকিমের দাবি করা ২৬০টি মাসুদ রানার বইয়ের মধ্যে একটি ও কুয়াশার ৫০টি বইয়ের মধ্যে ছয়টিতে লেখক হিসেবে তার নামে কপিরাইট করা আছে। বাকিগুলোর কপিরাইট করা নেই। তবে সেগুলো তার লেখা এটি তিনি প্রমাণ করেছেন। তবে কপিরাইট অন্তর্ভুক্তির কারণে তাকে প্রতিটি বইয়ের জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রতিটি বইয়ের লেখক হিসেবে তার নাম যাওয়ার পাশাপাশি, কপিরাইটও তার হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রায়ে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু সমাধান ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে কপিরাইট বোর্ড বা বিজ্ঞ আদালত থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত আবেদনকারীর দাবি করা ও তালিকাভুক্ত বইগুলোর প্রকাশ বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিপক্ষকে আবেদনকারীর কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা প্রকাশিত বইগুলোর সংস্করণ ও বিক্রিত কপির সংখ্যা এবং বিক্রয় মূল্যের হিসাব বিবরণী এ আদেশ জারির তারিখের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২৮ আগস্ট দেশের রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান লেখক ও অনুবাদক শেখ আবদুল হাকিম মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
সার্জেন্ট জরিমানা করায় ৩০ মিনিটের মধ্যে ট্রাফিক অফিসের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করলেন প্রকৌশলী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।