জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকসহ ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন নভেল করোনাভাইরাসে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবী বৃহস্পতিবার বলেন, সার্জারি ও গাইনি বিভাগের পাঁচ চিকিৎসক, চার নার্সসহ ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত শনিবার মিটফোর্ডে সার্জারি বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হন। জরুরি ওই রোগীর অস্ত্রোপচারে যারা যুক্ত ছিলেন, তারা সবাই আক্রান্ত বলে জানান পরিচালক।
“দুজন সার্জন এবং দুজন অ্যানেস্থেশিয়লজিস্ট, অপারেশনের সময় থাকা চারজন নার্স, তিনজন স্টাফ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া গাইনী বিভাগের আরেকজন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন।”
ডা. রশীদ বলেন, “মূলত রোগীর মিথ্যা তথ্যের কারণেই ডাক্তাররা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আর আমরাই বা কী করব, একজন রোগীর ইমার্জেন্সি অপারেশনের দরকার হলে তো অপারেশন করতে হবে, না হলে রাস্তায় মারা যাবে।”
সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মিথুন চক্রবর্তী বলেন, ওই রোগী নারায়ণগঞ্জ থেকে এলেও তার তথ্য গোপন করা হয়েছিল। তার সঙ্গের তিনজন বলেছিল মাদারীপুর থেকে এসেছে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই দিনই জরুরিভাবে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তারের ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জকে অন্যতম ‘ক্লাস্টার’ হিসেবে বিবেচনা করছে আইইডিসিআর। এই জেলায় সীমিত স্থানে বেশি রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
ডা. মিথুন বলেন, “অপারেশনের পর জানা যায়, ওই রোগী নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। সন্দেহ হলে পরের দিন রোগীর টেস্ট করে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।”
তখন ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসকদের কোয়ারোন্টিনে পাঠানো এবং সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি, তারমধ্যে পাঁচজনের সংক্রমণ ধরা পড়ল।
রোগী তথ্য গোপন না করলে এমন ঘটনা ঘটত না দাবি করে ডা. মিথুন বলেন, “আমরা সঠিক তথ্য জানলে সার্জারির সময় করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়েই অপারেশনে যেতাম।
“আমাদের পরিবার আছে, প্রতিদিনের মতো বাসায় গিয়ে স্যানিটাইজডও হয়েছি, যদি জানতাম এই রোগী করোনা পজিটিভ তাহলে অন্তত কোয়ারেন্টাইন মেইন্টেইন করতে পারতাম।”
তথ্য গোপনের কারণে আরও সংক্রমণের ঝুঁকি কীভাবে তৈরি হয়, তাও বলেন এই চিকিৎসক।
“আমরা ওই দিন আরও অপারেশনে অংশ নিয়েছি, এমনকি ওই দিন ও পরের দিন রোববারও রোগী দেখেছি। ওই রোগীর তথ্য গোপনের কারণে আরও কতজন করোনা পজেটিভ হয়েছে, জানি না।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।