আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলের শিশুদের দুধ, কলা, রুটি, সবজি ও ভাত খেতে দেওয়ার পরিবর্তে রুটি-লবণ খেতে দিচ্ছিলো স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই কাণ্ডের ছবি ও ভিডিও তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন সাংবাদিক পাওয়ান জয়শওয়াল। ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশ সরকার।
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উত্তর প্রদেশ সরকারকে অপমান করতেই এই কাজ করেছেন সাংবাদিক।
ওই অঞ্চলের ব্লক এডুকেশন অফিসারের অভিযোগ, এই ছবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি সাংবাদিকদের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
এনডিটিভি বলছে, পূর্ব উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর জেলার একটি স্কুলে দেখা যায়, সেখানকার শিশুরা মেঝেতে বসে কেবল লবণ দিয়ে রুটি খাচ্ছে। আর এই ভিডিওটি করেছেন সাংবাদিক পাওয়ান জয়শওয়াল। পরে তিনি সরকারি ওয়েসবাইট সার্চ করে দেখেন যে, যেসব দরিদ্র পরিবারের শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে তাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সরকারি স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তার মেনু হিসেবে আছে ভাত, রুটি, সবজি, দুধ, কলা। কিন্তু সাংবাদিকের করা ভিডিওটিতে দেখা যায়, মির্জাপুরের একটি স্কুলে শুধু রুটি আর লবণ খেতে দেওয়া হয়েছে শিশুদের।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরেই সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানতে চাওয়া হলে তিন পৃষ্ঠার প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটি তোলার দিন স্কুলে কেবল রুটিই রান্না হয়েছিল। সেদিন কোনো সবজি রান্না হয়নি পড়ুয়াদের জন্য। তারপরেও সাংবাদিক এবং গ্রাম প্রধানের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে সরকার।
তবে এর পাশাপাশি প্রকৃত সত্য বের করতে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে এনডিটিভিকে জানানন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অনুরাগ প্যাটেল।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মিড ডে মিলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে দেড় লাখেরও বেশি প্রাথমিক ও মধ্য বিদ্যালয়ে মিড ডে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। তারা মনে করছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি শিশু উপকৃত হবে।
মিড ডে প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রতি শিশুকে ন্যূনতম ৪৫০ ক্যালোরি খাবার সরবরাহ করতে হবে। যার মধ্যে ১২ গ্রাম প্রোটিন অবশ্যই থাকতে হবে। বছরে ২০০ দিন প্রতিটি শিশুকে এই খাবারগুলো সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু উত্তর প্রদেশের এই স্কুলগুলোতে কোন নিয়মই মেনে চলা হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।