আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেটস্ক অবরোধ করে শিল্প কেন্দ্রের মধ্যে শেষ সংযোগ সেতু ধ্বংস করায় লড়াইয়ে ‘ভয়ংকর’ হতাহতের ঘটনা রোধে সহায়তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা মিত্রদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের গতি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
লুগানস্কের পূর্ব দনবাস অঞ্চলের শেষ এলাকাগুলো এখনো ইউক্রেন বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে থাকায় সেভেরোদোনেটস্ক এবং লিসিচানস্ক শহর কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ান বাহিনীর হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার বলেছেন, এই অঞ্চলের যুদ্ধে প্রাণঘাতি লড়াই ছিল ‘খুবই ভয়ংকর’।
জেলেনস্কি ইউক্রেনের ভূখন্ড পুনরুদ্ধার করার সক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে দেশটির মিত্রদের আরো অস্ত্র পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন।
‘এই লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত করতে আমাদের যথেষ্ট অস্ত্র দরকার। আমাদের অংশীদারদের কাছে সেগুলো আছে।’
প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক সোমবার ইউক্রেন বাহিনীর চাহিদার তালিকা তুলে ধরে বলেন, তাদের শত শত হাউইৎজার, ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান প্রয়োজন।
‘শক্তভাবে লড়াই করে যুদ্ধ শেষ করতে আমাদের ভারী অস্ত্রের প্রয়োজন।’
আঞ্চলিক গভর্নর সের্গেই গেইডে সোমবার বলেছেন, এক সপ্তাহব্যাপী রুশ আক্রমনের পর ইউক্রেন বাহিনী সেভেরোদোনেটস্কের কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে এসেছে।
তিনি রেডিও ফ্রি ইউরোপকে বলেন, ‘তারা সব ব্রিজ ধ্বংস করে দিয়েছে এবং এতে শহরে প্রবেশ করা এবং বের হয়ে আসা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, রাশিয়ান বাহিনী শহরের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রন করছে, তবে পুরো শহরটি দখল বা ঘেরাও করেনি।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতিদিন তাদের ১০০ সৈন্য মারা যাচ্ছে এবং ৫০০ জন আহত হচ্ছে। এর আগে জেলেনস্কি বলেছেন, ৬০ থেকে ১০০ জন সৈন্য মারা যাচ্ছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।