জুমবাংলা ডেস্ক : সারা দেশে ভ্রমণ পিয়াসু পর্যটকের কাছে এখন, অনন্য একটি নাম মিনি কক্সবাজার। রাজধানী ঢাকার অতি নিকটে দোহার উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী মৈনটঘাট এলাকাই মূলত মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত।
করোনা পরবর্তী সময়ে এবারের ঈদের ছুটিতে মিনি কক্সবাজার এলাকাটিতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকৃতির সুন্দরতম নৈসর্গিক এই স্থানটি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। এছাড়া পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত মিনি কক্সবাজার এলাকাটিতে প্রতি মুহূর্তে আছড়ে পড়ছে পদ্মা নদীর মনোলোভা ঢেউ। দর্শনীয় এই স্থান নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক মোহময় লীলাভূমি হিসেবে ব্যাপক পরিচয় লাভ করেছে ইতিমধ্যে।
এখানে প্রতিনিয়ত জেলেরা নৌকা করে পদ্মায় ইলিশসহ দেশীয় নানান প্রজাপতির মাছ ধরছে এমন দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। এছাড়া মিনি কক্সবাজার এলাকাটিতে দাঁড়িয়ে দক্ষিণে যতদূর চোখ যায় ততদূর নীল আকাশ। এছাড়া রয়েছে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা, ঘোড়া গাড়ি, খাবারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি নৌ পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।
কিভাবে আসবেন মিনি কক্সবাজারে
ঢাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় দুই ঘণ্টার মধ্যেই আপনি মিনি কক্সবাজারে আসতে পারবেন। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় আবার ঢাকায় ফিরে যেতে পারবেন। মৈনটঘাট থেকে নদীর ওপারে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে সরাসরি পাকা রাস্তা রয়েছে এখানে আসার। এ রুটে বাস সার্ভিসও চালু আছে বহুদিন ধরে। ছুটির দিন শুক্রবার রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব।
মৈনাট ঘাটে গেলে মনে হবে, আপনার সামনে এক টুকরো কক্সবাজার আপনি অবাক হবেন। সারি সারি বাহারি রঙের ছাতার তলায় হেলানো চেয়ার সাজানো। দূরে তাকালে সমুদ্রের বেলাভূমির মতো দৃশ্যর দেখা মিলবে।
এছাড়া পদ্মার উত্তাল ঢেউ আপনার দিকে বারবার এগিয়ে আসবে এমনটাই আপনার মনে হবে। দেখতে পাবেন বড় বড় নৌকা, ছুটে চলা স্পিডবোট- এসব দৃশ্য মুহূর্তেই আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। ঘাটের কাছাকাছি দুই পাশে রয়েছে খাবার হোটেলের সারি। সেগুলোর সাইনবোর্ডে ঘাটের পরিচিতি ‘মিনি কক্সবাজার।
আপনি চাইলেই মৈনাট ঘাটে গিয়ে স্পিডবোটে পদ্মা নদীর বুকে ঘুরে বেড়াতে পারেন। একটি মাঝারি সাইজের ট্রলার প্রতিঘণ্টার জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিতে পারে। সেখানকার সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনার সারাজীবন মনে থাকবে।
মিনি কক্সবাজারে আসার উপায়- ঢাকা থেকে মৈনাট ঘাটে যাওয়ার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে- গুলিস্তানের গোলাপ শাহ (রঃ) মাজারের সামনে থেকে সরাসরি মৈনাট ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যমুনা পরিবহনে চেপে বসা। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময়ের বিনিময়ে আপনি পৌঁছে যাবেন মৈনাট ঘাটে। ফেরার সময় একই বাসে আবার ঢাকা চলে আসবেন।
কোথায় খাবেন: মৈনাট ঘাটে কিছু খাবারের হোটেল আছে। ইলিশ ১২০ থেকে ২০০ টাকা। বড় সাইজের ইলিশ খেতে চাইলে আগেই অর্ডার দিতে হবে। এ ছাড়াও বোয়াল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চিংড়ি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
এখানে যারা আসবেন তাদের একটি বিষয় জানা দরকার, সাঁতার না জানলে গোসল করার সময় পদ্মার বেশি গভীরে যাবেন না। আপনার একটু অসচেতনতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।