বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। তাঁর স্বামী সনি পোদ্দার একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। দীর্ঘ ৬ বছরের প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এ বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের সদস্যসহ তাদের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার বিকেলে ফেসবুকে বরের সঙ্গে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন মিম। এর ক্যাপশনে বিয়ের বিষয়টিও জানান তিনি।
ছবির ক্যাপশনে মিম লেখেন,‘কে প্রথম কাছে এসেছি, কে প্রথম চেয়ে দেখেছি। কিছুতেই পাই না ভেবে কে প্রথম ভালবেসেছি, তুমি না আমি? শুভক্ষণ, শুভ দিন। বহু বছরের দীর্ঘ প্রণয়ের পর সাত পাকে বাঁধা পড়লাম আমরা। জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য সকল ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে শুভকামনা প্রার্থী।’
মিমের পোস্ট করা বিশেষ এ দিনের মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করেছেন রেমিনিসেন্স ফটোগ্রাফির তিন আলোকচিত্রী আতা এম আদনান, রাশেম বাপ্পি ও আনন্দ এম হায়দার। দেখে নেওয়া যাক মিমের জীবনের বিশেষ এ মুহূর্তের ছবিগুলো।
মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। বিয়ের খবর পুরোটা চেপে গেলেও গোপন থাকেনি। শুধু তা-ই নয়, সোমবারের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানও একেবারে গোপনেই সেরেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানেও কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করেছিলেন এই নায়িকা।
বিয়েতে মিম পরেছেন লাল লেহেঙ্গা সঙ্গে শরীর জুড়ে মোড়ানো দামি গহনা। মিমের স্বামী সনি পরেছেন চাদরে মোড়া শেরওয়ানি ও গোলাপি পাগড়ী।
মঙ্গলবার দুপুরে ধুমধাম আয়োজনে সিঁথিতে সিঁদুর পরেন ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবির এই নায়িকা। সনাতন ধর্মরীতি মেনেই বিয়ে হয় মিমের। শোবিজের একাধিক পরিচালক, শিল্পী ও দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান।
মিম জানিয়েছেন, সনির সঙ্গে একটা গ্রুপ থেকে বান্ধবীর মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। মজা করতে করতেই নাকি প্রেম হয়ে গেছে তাঁদের। গ্লোরিয়া জিনসে প্রথম দেখা করেন তাঁরা। সনির কাছ থেকে মিমের পাওয়া প্রথম উপহার ছিল জন্মদিনে কেক, গলার সুন্দর একটা সেট আর গোলাপি রঙের
সনি সম্পর্কে মিম বলেন, ‘সে খুবই বিনয়ী আর লক্ষ্মী ছেলে। এর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ভালো। যখন আমি আপসেট থাকতাম, সে আমাকে হাসানোর চেষ্টা করত, মন ভালো করে দিত। এ ছাড়া আমার কাজ নিয়ে খুবই সাপোর্ট দিত’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।