এক দিনেই পড়ল ১৬ উইকেট। বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে গুটিয়ে গিয়েছে ১০৬ রানে। বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে ৬ উইকেট। সফরকারীরা ৩৬ রানের লিড নিলেও তাই বাংলাদেশকে মিরপুর টেস্ট থেকে একেবারেই বাদ দেয়ার অবকাশ নেই এই কথা সত্যি।
মাঠের খেলার পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে মিরপুরের উইকেটও। যেখানে দিনটা ছিল বোলারদের। রেকর্ডের খাতাটাও এদিন ভারি করেছেন বোলাররাই। কাগিসো রাবাদা বলের হিসেবে পূর্ণ করেছেন দ্রুততম ৩০০ উইকেট। আর তাইজুল ইসলাম শেষ বিকেলে ৫ উইকেট পূর্ণ করে সাদা পোশাকে নিজের ২০০ তম উইকেট নিয়েছেন। টেস্ট ফরম্যাটে মিরপুর শের-ই বাংলায় সবচেয়ে বেশি উইকেটও তারই।
বোলারদের রেকর্ডের দিনটায় মিরপুরের শের-ই বাংলা দেখেছে সবচেয়ে বেশি উইকেট পতনের দিন। এর আগে টেস্টে কখনোই এই মাঠে ১৬ উইকেট পড়েনি। এর আগে ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে একদিনে ছিল ১৫ উইকেট পতনের ঘটনা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্টের আগে সেটাই ছিল মিরপুরে সবশেষ টেস্ট!
মিরপুরে একদিনে সবচেয়ে বেশি উইকেট পতনের ঘটনা দেখা গেলেও ঢাকায় এরচেয়ে বেশি উইকেট পতনের নজির আছে আগে থেকেই। সেবারেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢাকা টেস্টের ৩য় দিনে পড়েছিল ১৮ উইকেট। সেদিন প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল ১০২ রানে। আর ফলো-অনে এসে বাংলাদেশ থেমেছিল ২১০ রানে।
তিন মাসের বেতন বকেয়া, মহাসড়ক অবরোধ করে কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
অবশ্য টেস্টে একদিনে সবচেয়ে বেশি উইকেট পতনের হিসেবে ঢের পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের এই দুই পরিসংখ্যান। ১৮৮৮ সালে লর্ডস টেস্টের ২য় দিনে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড দুই দলের মোট ২৭ উইকেটের পতন হয়েছিল। আর প্রথম দিনের হিসেবে ১৯০২ সালে মেলবোর্ন টেস্টে দেখেছিল ২৫ উইকেটের পতন। সেবারেও মাঠে ছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।