স্পোর্টস ডেস্ক : বিপিএলের ইতিহাসে এই ম্যাচের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ঢাকা তুলেছিল টর্নেডো। কিন্তু ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে খুলনা দেখাল সাইক্লোন। পাহাড়সম টার্গেটে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১১ বল হাতে রেখেই পৌঁছে গেছে খুলনা। তান্ডব শুরু হয়েছিল মিরাজের ব্যাটে, শেষে রাঙিয়ে দিলেন শান্ত। শান্ত করেছেন ৫৭ বলে ১১৫ রান।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ ওপেনিং জুটিতে মাত্র সাত ওভারে ৭০ রান তুলে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচটা খুলনা জিততেই নেমেছে। মাত্র ২৫ বলে ৪৫ রান করে মিরাজ ফিরলেও শান্ত ছিলেন। ঝড় তখন মিরাজই তুলেছিলেন। মিরাজ ফেরার পর শান্ত হয়ে উঠলেন রীতিমতো অশান্ত। মাত্র ৫১ বলে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। ৭ ছক্কা ও ৮ চারে সাজানো শান্তর এই ইনিংসের পর ঢাকার বোলারদের ওপর খুলনার আধিপত্যের কথা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজনই নেই।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল যখন দলীয় এক রানে সাজঘরে ফিরলেন তখন নিশ্চয়ই অধিনায়ক মাশরাফির মুখে চিন্তার রেখা জেগে উঠেছিল। সেই রেখা আরো গভীর করে প্রথম পাঁচ ওভারে ঢাকা তোলে ৩৫ রান ও হারায় তিনটি উইকেট। এই চোরাবালি থেকে ঢাকাকে টেনে তোলেন মুমিমুল হক ও মাহাদী হাসান। মুমিনুল করেন ৫৮ বলে ৯১ এবং মাহাদী যোগ্য সঙ্গ দিয়ে করেন ৩৬ বলে ৬৮ রান। দু’জনে শুধু ছক্কাই মেরেছেন ১১টি।
প্রথম ১৩ ওভারে ঠিক ১০০ রান তোলা ঢাকা পরের সাত ওভারে রীতিমতো স্টিমরোলার চালিয়েছে খুলনার বোলারদের ওপর। মুমিনুল ও মাহাদী পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ১৬৩ রানের। ১৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৮৮ রানে মুমিনুল ফিরলেও অপরাজিত ছিলেন মাহাদী। শেষ পর্যন্ত ঢাকা তোলে ২০৫ রান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।