সম্ভবত আপনি বিশ্বাস করেন যে, কেবল পৃথিবীই আমাদের জন্য যথেষ্ট ও পৃথিবীর বাহিরে বসবাসের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এরকম কোন গ্রহ নেই। কিন্তু পৃথিবীর মত অনুরূপ গ্রহের সংখ্যাটা সম্ভবত কোটি কোটি হতে পারে। নতুন গবেষণা অনুসারে, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে পৃথিবীর মতো গ্রহের সংখ্যা ৬ বিলিয়নের মত হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (ইউবিসি) এর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নাসার কেপলার প্রকল্প থেকে ডেটা পরীক্ষা করে একটি চমকপ্রদ উপসংহারে এসেছেন। সেটা হচ্ছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত, Kepler planet-hunting স্যাটেলাইটটি ২ লাখ তারার তথ্য সংগ্রহ করেছে।
এই ধরনের গ্রহটি বাছাই করার জন্য বিজ্ঞানীদের মানদণ্ড ঠিক করেছলেন। মানদন্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল যে, পৃথিবীর মতো একই আকারের হতে হবে ও চারপাশে পাথুরে পরিবেশ থাকতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সূর্যের মতো একটি তারকা থাকলে ভালো।
তাছাড়া ঐ গ্রহ বাসযোগ্য অঞ্চল হতে হবে যেখানে পানি এবং জীবনের উপস্থিতির ক্ষেত্রে আদর্শ পরিবেশ থাকবে। সম্প্রতি আমাদের সৌরজগতের বাইরে ১৭টি নতুন গ্রহের (এক্সপ্ল্যানেটস) চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষক মিশেল কুনিমোটো বলেছেন যে, প্রতিটি সূর্যের জন্য প্রায় 5 টি গ্রহ রয়েছে।
কুনিমোটো অধ্যয়ন করার জন্য ‘ফরোয়ার্ড মডেলিং’ নামে পরিচিত একটি কৌশল ব্যবহার করেছিলেন, যা তাকে এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে দেয় যে পৃথিবীর মতো গ্রহগুলি তাদের ক্ষুদ্র আকার এবং তাদের তারকা থেকে কক্ষপথের দূরত্বের কারণে সনাক্ত করা কঠিন।
“আমি যে নক্ষত্রগুলি অনুসন্ধান করেছি তার চারপাশে এক্সোপ্ল্যানেটের সম্পূর্ণ সংখ্যা গণনা করা শুরু করেছি,” UBC-এর প্রেস রিলিজে গবেষণার ব্যাখ্যা এভাবেই দেওয়া হয়েছে৷ অ্যালগরিদম অনুযায়ী কাঙখিত গ্রহ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা তার উপর নির্ভর করে প্রতিটি গ্রহকে ‘শনাক্ত করা’ বা ‘মিসড’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তারপর, আমি সনাক্ত করা গ্রহগুলিকে প্রকৃত গ্রহের ক্যাটালগের সাথে তুলনা করা হয়েছে। যদি সিমুলেশনটির সাথে ঘনিষ্ঠ মিল পাওয়া যায়, তবে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহের প্রকৃত সংখ্যার তুলনায় প্রাথমিক গ্রহের সংখ্যার রিপ্রেজেন্টেশন ভাল ছিল।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।