২৩০০ বছর আগে মারা যাওয়া এক কিশোরের মমি নিয়ে আশ্চর্যজনক তথ্য প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানীরা। ওই কিশোরকে মিশরের সমাহিত করা হয়েছিল। তার দেহাবশেষকে দীর্ঘদিন ধরে গোল্ডেন বয় নামে ডাকা হচ্ছিল।
মিশরের কায়রো ইউনিভার্সিটির রেডিওলজিস্টরা সিটি স্ক্যান পদ্ধতি ব্যবহার করে আঘাত না করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন। গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায় যে, ওই কিশোরের সাথে অনেক মূল্যবান সম্পদ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
উদাহরণ হিসেবে ৪৯ টি দামি অ্যামুলেট এর কথা বলা যেতে পারে। কিশোরের দেহকে রক্ষা করতে এবং সে যেন সুস্থ থাকে তার জন্য অ্যামুলেট ব্যবহার করা হতো। আবার মুখের মধ্যে সোনার তাবিজ ব্যবহার করা হয়েছে যেন মৃত ব্যক্তি পরবর্তী জীবনে গিয়ে কথা বলতে পারে।
কায়রো ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের রেডিওলজির অধ্যাপক এবং গবেষক সাহার সেলিম বলেন যে, ছেলেটি সম্ভবত ধনী পরিবারের সন্তান ছিল। প্রাচীন মিশরীয়রা তাবিজের শক্তিতে বিশ্বাস করতো। ছেলেদের দেহাবশেষ যেন অক্ষত ও সুস্থ থাকে তার জন্য তাবিজ ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই কিশোরের মমি তৈরি করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে তা বেশ ব্যয়বহুল। পাশাপাশি অনেক যত্ন করে মমি তৈরি করা হয়েছিল। সম্ভবত সে ধনী ও অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিল।
নতুন করে গবেষণার পূর্বে ওই কিশোরের মমি কায়রোর মিশরীয় জাদুকরের বেসমেন্টেকে রাখা হয়েছিল। ছেলেটির বয়স ছিল ১৪ বা ১৫ বছর। তার উচ্চতা হবে 4 ফুট 2 ইঞ্চি বা ১২৮ সেন্টিমিটার। গবেষণায় ছেলেটির মৃত্যুর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওই কিশোরকে দুই ধরনের কফিনে রাখা হয়েছিল। সোনার মুখোশ সহকারে তাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। প্রাচীন মিশরের রীতি অনুযায়ী পবিত্রতা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য মৃতদের সঙ্গে সাদা স্যান্ডেল জুড়ে দেওয়া হতো। গবেষণায় পাওয়া যাওয়া অধিকাংশ অ্যামুলেট সোনার তৈরি ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।