মিশরের সরকার তার রাজধানী কায়রো থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। এজন্য মরুভূমির বুকে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ঐতিহাসিক কায়রো শহর থেকে কেনো রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তার ব্যাখ্যা থাকবে আজকের আর্টিকেলে।
বর্তমানে কায়রো শহরে দুই কোটির বেশি লোক বাস করে। কায়রো শহরে যানজটের সমস্যা দিন দিন তীব্রতার হয়ে উঠছে। কায়রোতে জনবিস্ফোরণের চাপ সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।
অনেক দিন ধরে সাহারা মরুভূমির বুকে নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করে চলেছে মিশর সরকার। ২০১০ সালে নির্মিত নিউ কায়রো সিটি তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। নিউ কায়রো সিটির পাশেই নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
সরকারি মন্ত্রণালয় সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সদর দপ্তর এবং প্রতিষ্ঠান কায়রো থেকে এখানে সরিয়ে আনা হবে। এমনকি মিশরের সেনাবাহিনীর কথা বিবেচনা করে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।
মিশরের এ প্রশাসনিক অঞ্চলের নির্মাণের কাজ সুপরিকল্পনার সাথে এগিয়ে চলেছে। এমনকি রাষ্ট্রপতির বাসভবন সরিয়ে এখানে আনা হচ্ছে। পেন্টাগনের আদলে এখানে বৃহৎ অবকাঠামো দ্য অক্টাগণ নির্মাণের কাজ চলছে।
অক্টাগণ এর নির্মাণ কাজ শেষ হলেই এটিই হবে পৃথিবীর সবথেকে বড় সামরিক স্থাপনা। এতদিন ধরে এ রেকর্ড পেন্টাগনের হাতে ছিল। আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রশাসনিক শহর গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে মিশর।
মিশর একই সাথে স্পোর্টস সিটি এবং অলিম্পিক সিটি নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন জাতীয় স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং ফুটবলের অবকাঠামো সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ চলছে।
অলিম্পিক এবং ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে মিশর। দেশের সবথেকে বড় মসজিদ এখানে নির্মাণ করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কাজ চলছে।
এখানে নির্মাণ হতে যাওয়া আইকনিক টাওয়ার আফ্রিকা অঞ্চলের সুউচ্চ আকাশচুম্বী বিল্ডিং হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের জন্য উন্নত মানের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।