আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, “মিসরীয় সভ্যতার মতোই প্রাচীন একটি রোগ ম্যালেরিয়া। এটি মিসরেও ফারাওদেরও ভুগিয়েছিল। তবে রোগটি এখন কেবলই ইতিহাসের অংশ।”
মিসরকে ম্যালেরিয়া-মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রায় তিন বছর ধরে রোগটির সংক্রমণের ধারা রুখে দিতে সক্ষম হওয়ায় দেশটিকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত রবিবার এক বিবৃতিতে ম্যালেরিয়ার অবসান ঘটানোর জন্য মিসরের সরকার ও জনগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ডব্লিউএইচও। একইসাথে এই অর্জনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, “মিসরীয় সভ্যতার মতোই প্রাচীন একটি রোগ ম্যালেরিয়া। এটি মিসরেও ফারাওদেরও ভুগিয়েছিল। তবে রোগটি এখন কেবলই ইতিহাসের অংশ।”
ডব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় দেশ হিসেবে ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশের স্বীকৃতি পেল মিসর। এর আগে অঞ্চলটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো এই স্বীকৃতি পেয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে ৪৪টি দেশ ও একটি অঞ্চল ম্যালেরিয়ামুক্ত হওয়ার মাইলফলক অর্জন করেছে। তবে ডব্লিউএইচও বলেছে, এই স্বীকৃতি নতুন অধ্যায়ের শুরু মাত্র। এই স্বীকৃতি ধরে রাখতে মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
মিসরের কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯২০ এর দশকে প্রাণঘাতী মশাবাহিত সংক্রামক রোগটি নির্মূল করার জন্য প্রথম প্রচেষ্টা শুরু করে। ওই সময় বাড়ির কাছাকাছি ধান ও কৃষিজ ফসল চাষ নিষিদ্ধ করা হয়। এক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও সার্টিফিকেশন পেতে একটি দেশকে পুনরায় সংক্রমণ শুরু হতে না দেওয়ার ক্ষমতা প্রমাণ করতে হয়।
ম্যালেরিয়ায় বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ছয় লাখ মানুষ মারা যায়। এর বেশির ভাগই আফ্রিকা মহাদেশে।
ম্যালেরিয়া জটিল পরজীবীর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যা মশার কামড়ে ছড়ায়। এখন এই রোগের বিরুদ্ধে কিছু জায়গায় ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে রোগ পর্যবেক্ষণ করা এবং মশার কামড় এড়ানোই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।