অর্থনীতি ডেস্ক: টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। মঙ্গলবার থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে মিয়ানমারের গবাদি পশু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দশনা অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে কোনভাবেই মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করা যাবে না। পরবর্তি নিদের্শনা না আসার পর্যন্ত, এই নির্দেশ অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে শিগগির বিজিবি ও শুল্ক স্টেশনকে অবহিত করা হবে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু বাংলাদেশে আনা হচ্ছিল। শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে প্রতি গরু-মহিষ থেকে ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় করে বৈধ করা হতো। পরে সেগুলো বাজারে কেনা-বেচা হয়।
এদিকে সর্বশেষ চলতি আগস্ট মাসের প্রথম দুই দিনে মিয়ানমার থেকে ২ হাজার ৬২৮টি পশু শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে আসে। আমদানিকৃত পশু থেকে ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া জুলাই মাসে ১০ হাজার ৯৫টি পশু আসে। তাছাড়া সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭৫ হাজার ৫২১টি। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৭টি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৯৩৬টি পশু আমদানি হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
টেকনাফ উপজেলার পশু আমদানিকারক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু সৈয়দ বলেন, সামনে কোরবানি, হঠাৎ করে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের শত কোটি টাকার লোকসান পোহাতে হবে। কারণ মিয়ানমারে পশু ব্যবসায়ীদের শতশত কোটি টাকা দাদন দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া কোরবানিকে সামনে রেখে সেদেশে অনেক পশু মজুদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পশুবোঝাই কিছু ট্রলার পথে রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের লোকসানের কথা ভেবে পশু আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
জানতে চাইলে টেকনাফে বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধের নির্দেশনা এখনো পাইনি। আমি যতটুকু জানি সাগর উত্তালের কারণে পশু আসা বন্ধ রয়েছে।
টেকনাফ শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ময়েজ উদ্দীন বলেন, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধের বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
প্রসঙ্গত, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরটি শুল্ক স্টেশনের আওতাধীন জোন। ২০০৩ সালে ২৫ মে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গবাদিপশু আসা রোধে বিজিবির চৌকি-সংলগ্ন এলাকায় এ করিডোর চালু করা হয়। আমদানি করা গবাদিপশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে রাজস্ব জমা এবং স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়ে গবাদিপশুগুলোর জন্য করিডোর থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয়।সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।