জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি ও যুবদলের অন্তত ১৫ নেতার সঙ্গে যুবলীগের বহিষ্কৃত ওই দুই নেতার সম্পর্ক ছিলো। গ্রেপ্তার হওয়া খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীম বিএনপি ও যুবদল নেতাদের মামলা চালানোর খরচ দিতেন। আর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইন চার্জ লোকমান হোসেনও বিএনপির ওই নেতাদের দেখেশুনে রাখতেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে দেশ রূপান্তর।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, মতিঝিল ক্লাবপাড়াসহ যেসব স্থানে ক্যাসিনো ছিলো সেসব স্থান থেকে ওঠানো টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হতো। ওই টাকার একটি অংশ যেত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কাছে। তা ছাড়া বিএনপি ও যুবদলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অর্থ দিতেন খালেদ মাহমুদ ও জি কে শামীম।
পাশাপাশি যুবলীগ দক্ষিণের শীর্ষ এক নেতার সঙ্গেও বিএনপি ও যুবদল নেতাদের যোগাযোগ ছিলো। বিএনপি ও যুবদলের ওই নেতাদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। নির্দেশ পেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হুন্ডির মাধ্যমে জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদের দেশের বাইরে অর্থ পাচারের তথ্য মিলেছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, ‘দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি জি কে শামীমকেও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। তাদের দেয়া সব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের তিন মূর্তিমান আতঙ্ক জি কে শামীম, খালেদ ও কালা ফিরোজকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক নতুন তথ্য দিয়েছেন তারা। ক্যাসিনো ও টেন্ডারবাজি করে তারা কত টাকার মালিক হয়েছেন সেই তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনোর টাকার কমিশন কারা পেতেন সেই তথ্যও মিলছে। এমনকি বিএনপির কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের নাম বলেছেন তারা।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, মতিঝিলের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে খালেদ মাহমুদ ও জি কে শামীম হুন্ডি করে টাকা বিদেশে পাঠাতেন। তারা হুন্ডি কারবারিদের নাম প্রকাশ করেছেন।
একটি সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সম্রাট গ্রেপ্তারের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সবুজ সংকেত নেই। সম্রাট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির মধ্যেই রয়েছেন। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যে নির্দেশ আসবে সেই অনুযায়ী কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি আরও বলেন, সম্রাট ও খালেদের সুবিধাভোগীদের তালিকায় শীর্ষ রাজনীতিবিদ, সংগঠনের সুবিধাভোগী, পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।