সোহেল চৌধুরী রানা, সাপাহার (নওগাঁ): নওগাঁর সাপাহারে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে ১২০টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার।
মনোরম পরিবেশে আকাশী নীল টিনের ছাউনির তৈরী সারি সারি নির্মিয়মান বাড়িগুলো দেখে অসহায় গৃহহীন পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।
এরই অংশ হিসেবে ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ প্রতিপাদ্যের আলোকে সাপাহার উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণির গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার হিসেবে এসব বাড়ির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন ১২০টি ঘরের প্রায় ৮০ ভাগ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে নির্মাণাধীন ঘরগুলো।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বক্ষণিক তদারকি ও তত্বাবধায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার তুলে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে সম্পৃক্ত করে উপজেলার সাপাহার সদর, তিলনা, শিরন্টী, আইহাই, গোয়ালা ও পাতাড়ী ইউনিয়নের প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীন উপকারভোগীদের মাঝে ঘর বন্টণের সকল প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, কেউ অন্যের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাড়িতে আবার কেউ কেউ সরকারি খাস জমিতে কোন রকম কুঁড়েঘর তৈরি করে নিদারুণ কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মিত বাড়িগুলো দেখে তারা ইতোমধ্যে নিজের ঘরে, নিজের একটি জায়গায় বসবাস করার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। কখন উঠবেন স্বপ্নের সেই ঘরে-এই ভাবনায় এখন তারা বিভোর।
পরিবারগুলো বলেন, এত সুন্দর ইটের বাড়িতে আমাদের বসবাসের সুযোগ হবে আমরা তা কখনোই ভাবিনি। তাছাড়া ইচ্ছে থাকলেও জায়গা কিনে বাড়ি তৈরির সামর্থ্য আমাদের নেই। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আমাদের জন্য শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নয় বরং একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আমরা চির কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি।
সাপাহার উপজেলা প্রশাসনকেও তারা ধন্যবাদ জানান।
তিলনা ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার ইউনিয়নে ২৪টি পরিবার এ সুবিধা পাচ্ছে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাড়ি নির্মাণ কাজগুলো সম্পূর্ণ হচ্ছে। একাজে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনএ) কল্যাণ চৌধুরী বলেন, ‘বাস্তবায়নাধীন এসব প্রতিটি ঘরের জন্য মোট বরাদ্দ দেওয়া রয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতে রয়েছে একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেটসহ সামনে খোলা বারান্দা। আমরা এ কাজে জনপ্রতিনিধিদেরকে সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালনের চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর অল্প সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে। অসহায় মানুষগুলো বুঝে নিবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসার উপহার।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন মন্ডল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ সারাবিশ্বে বিরল এক দৃষ্টান্ত। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অবিচল থাকা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।