স্পোর্টস ডেস্ক : দু’দিন আগে (২৬ মে) কাঁটায় কাঁটায় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৫ বছর পূর্ণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। এই ১৫ বছরে বাংলাদেশের অনেক জয়ের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। দলকে জয়, গর্ব এনে দিতে খেলেছেন দারুণ কিছু ইনিংস। ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপে এর মধ্যে সেরা সাতটি ইনিংস বেছে নিলেন মুশফিক।
লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট: মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিখ্যাত লর্ডসে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। খালেদ মাসুদ পাইলটের বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে ছিলেন তিনি। অভিষেক টেস্টে হোগার্ড, হ্যারমিসন, ফ্লিনটফদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৯ রান করেন মুশফিক। কিন্তু ২০০৫ সালের অ্যাসেজ কাঁপানো ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে ‘বালক’ রহিম খেলেন ৫৬ বল। উইকেটে ছিলেন ৮৫ মিনিট। ওটাই তার ক্যারিয়ার সেরা সাত ইনিংসের একটি।
ভারতের বিপক্ষে ২০০৭ বিশ্বকাপে: খালেদ মাসুদ পাইলট তখনও দর্শক প্রিয় ক্রিকেটার। ব্যাটে যা হোক রান পান। উইকেটের পেছনে তার বিকল্প নেই। তারপরও মাসুদকে হটিয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপে জায়গা দেওয়া হয় মুশফিককে। ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান মুশি। খালেদ মাসুদ প্রশ্নের ইতি টেনে দেন।
মুশফিকুর জানান, খালেদ মাসুদের জায়গায় দলে ঢোকা আবার হুট করেই তিনে ব্যাট করতে নেমে তার জন্য ভালো করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ সাকিবকে উইকেটে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে ভয় চলে গিয়েছিল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১১ সালে সেঞ্চুরি: জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। তৃতীয় ম্যাচে ২৫১ রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে যায় দল। মুশফিক খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। দলকে এনে দেন জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১১, নেতৃত্বের শুরু: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলকে জেতানোর পরে ওই বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানোর ভার পড়ে মুশফিকের ওপর। এবার টি-২০ ফরম্যাটে।অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজ তার। শেষ তিন ওভারে ২৭ দরকার ছিল দলের। মুশফিকই শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ছয় মেরে দলকে জিতিয়ে মিরপুরে বাঘের হুঙ্কার ছেড়েছিলেন মুশফিক।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০১৩ সালের ডাবল সেঞ্চুরি: বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শ্রীলংকার বিপক্ষে গল টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। ওই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তিনি। সেই ফর্ম টেস্টেও নিয়ে যান।
ভারতের বিপক্ষে ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে হারের ম্যাচ: এখনও মুশফিককে ওই ম্যাচের জন্য কটাক্ষ করেন অনেকে। ভারতীয়রা তো সুযোগ পেলেই খোঁচা দেন। কিন্তু ওই বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মুশফিকের ২ রানে হারের ম্যাচের আটে নেমে ৬ বলে ১১ করেছিলেন মুশফিক। ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদে টেস্ট সেঞ্চুরিও তার কাছে প্রিয় ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি: সাকিবের টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচে ১৫৯ করেছিলেন মুশফিক। দু’জনে রেকর্ড ৩৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন ২০১৬-১৭ মৌসুমে। মুশফিকের ওই ম্যাচে পায়ে ব্যথা ছিল, মাথায় বলের আঘাত পেয়েছিলেন। ওভাবেই বেসিন রিজার্ভের উইকেট, কন্ডিশন এবং কিউইদের পেস আক্রমণ সামলেছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।