স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘদিন পর বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। গতি, দুর্দান্ত স্লোয়ার-কাটার ও ভয়ংকর বাউন্সারে সিলেট থান্ডার ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে ছেড়েছিলেন ফিজ। এতে টার্গেট নাগালের মধ্যে রেখেছিল রংপুর রেঞ্জার্স।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় রংপুর। এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শেন ওয়াটসন। ওয়ানডাউনে নেমে নাঈম শেখকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। একপর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। দুজনই তোপ দাগাতে থাকেন।
এরই মধ্যে ফিফটি তুলে নেন ডেলপোর্ট। পরে আরো আগ্রাসী হন তিনি। ফেরার আগে ২৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নাভিন-উল-হক এর বলে আউট হন তিনি।
এরপর একই বোলারের বলে তড়িঘড়ি ফেরেন লুইস গ্রেগরি। তবে তাতে সমস্যা হয়নি। ততক্ষণে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় রংপুর।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না ওঠার আগেই আরাফাত সানির শিকার হন ইনফর্ম আন্দ্রে ফ্লেচার। এরপর মুকিদুল ইসলামের বলে দ্রুত ফেরেন জনসন চার্লস।
শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। পরে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ক্রিজে সেট হয়ে চোখ রাঙাচ্ছিলেন এ জুটি। তবে সেটা ভালোভাবে নিতে পারেননি রংপুর রেঞ্জার্সের ফিল্ডাররা। মোসাদ্দেককে রানআউটে কেটে ফেরান নাঈম শেখ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান তুলতে সামর্থ হয় সিলেট। তাদের এ রানে বেঁধে রাখার নেপথ্য কারিগর মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি।
শেষমেশ ২.৪ ওভার হাতে রেখে ১৩৪ রান করে ৭ উইকেটের সহজ একটি জয় পায় রংপুর রেঞ্জার্স। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরে রংপুরের দ্বিতীয় জয় এটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট থান্ডার্স- ২০ ওভার ১৩৩/৯ (মোহাম্মাদ মিথুন ৬২)
(মুস্তাফিজুর রহমান ৪-০-১-২)
রংপুর রেঞ্জার্স- ১৭.২ ওভার ১৩৪/৩ (ক্যামেরন ডেলপোর্ট ৬৩)
(নাভিন-উল-হক ৪-০-১৩-২)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।