স্পোর্টস ডেস্ক:মুস্তাফিজের পাগল সেই ভক্ত এখন কারাগারে। জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে মিরপুরে খেলার মাঠে ঢুকে পড়া মুস্তাফিজের ভক্ত রাসেলের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২১ নভেম্বর) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জীব কুমার সরকার তার রিমান্ডের আবেদন করে রোববার (২১ নভেম্বর) আদালতে হাজির করেন।
রাসেলের মাঠে প্রবেশের রহস্য উদঘাটনে তাকে রিমান্ডে নিতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতে আসামির কোনো আইনজীবী ছিল না। তবে আদালত তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রোববার সকালে রাসলকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাসেলকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়েছি। আজ রাসেলকে ৫৪ ধারায় আদালতে হাজির করা হবে। আমরা তাকে আরও দীর্ঘতর জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করব। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
এর আগে শনিবার রাতে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই রাসেলকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। সে ঠিক কী কারণে জৈব বেষ্টনি ভেদ করে মাঠে প্রবেশ করেছে তা আমরা সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করছি। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, সে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মুস্তাফিজের ভক্ত।
তবে মাঠে প্রবেশ করার তার ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না সেসব বিষয়ও আমরা জানার চেষ্টা করছি। থানায় আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এ বিষয়ে কি ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে রাসেলের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) খেলা চলাকালে হঠাৎ রাসেল দর্শক গ্যালারির কাঁটাতারের দেয়াল টপকে ভোঁদৌড় দেন মাঠের দিকে। বেশ কয়েকজন মাঠ কর্মীকে কাটিয়ে তিনি এক দৌড়ে হাজির হন মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে। হুট করেই লুটিয়ে পড়ে কুর্ণিশ করতে শুরু করেন ‘কাটারমাস্টার’ খ্যাত মুস্তাফিজকে। খেলার তখন দ্বিতীয় ইনিংস চলছে। পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে। এমন সময় নর্দান গ্যালারির লোহার সীমানা প্রাচীর টপকে হঠাৎই মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। এসে সোজা পড়েন মুস্তাফিজের পায়ের কাছে। পরে ওই দর্শককে সরান নিরাপত্তাকর্মীরা। মুস্তাফিজকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় করোনার নিয়মের কারণে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় নিরাপত্তা ইস্যু। করোনাভাইরাসের মধ্যে দর্শক ফিরিয়ে বেকায়দায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কড়া নিরাপত্তা আর বেষ্টনী ডিঙিয়ে নর্দান গ্যালারি থেকে সোজা মাঠে ঢুকে পড়েন এক সমর্থক।
সে ওভারে প্রথম বলের পর বোলার মুস্তাফিজের পায়ের কাছে কাছে বসে ‘ভালোবাসা’ প্রকাশ করেন সেই সমর্থক।
এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা মাঠে এসে ওই রাসেলকে মাঠের বাইরে নিয়ে পুলিশে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।