জুমবাংলা ডেস্ক: দেশব্যাপী আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত পৃথক কনডেম সেলে স্বাভাবিক রয়েছেন। তবে তারা চুপচাপ রয়েছেন। তাদের স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং তারাও খাবার খাচ্ছেন।
সোমবার রাতে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতকে পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। বাকি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থানীয় তিনজনকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে এবং তিন পুলিশ সদস্যদের পৃথকভাবে রাখা হয়েছে।
এদিকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাসপ্রাপ্ত সাত পুলিশ সদস্য কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন। ওসি প্রদীপ আর লিয়াকত কনডেম সেলে রয়েছেন।
মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ১৮ মাস পর সোমবার ৩১ জানুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা হয় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালতে মামলা দায়ে মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড, অপর ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এবং রায়ে খালাসপ্রাপ্ত সাতজনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমেদ জানান, আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার জেলা কারাগার থেকে তার সাত মক্কেলকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তারা সন্ধ্যায় নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
আদালতের নির্দেশটি সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার কারাগারে আসার পর তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। আদালতের আদেশের মধ্যেই লেখা ছিল— আদেশটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুক্ত করে দেওয়ার জন্য।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইনাম আহমেদ রাশেদ খান। এর পর নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলার রায় হয়েছে সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।