জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা সর্বোচ্চতে পৌঁছেছে। ২৩০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে দেশ। একই সময়ে দেশে আরো ১১ হাজার ৮৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটিও একদিন শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
আজ রবিবার (১১ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ২৩০ জন রোগী। যা প্রতি ঘণ্টায় দাঁড়ায় প্রায় ১০ জনে। অর্থাৎ প্রতি ৬ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে মারা যাচ্ছে একজন করোনা রোগী। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসলে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনের। ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে, গত ৭ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। পরদিন (৮ জুলাই) করোনায় দেশে ১৯৯ জনের এবং শুক্রবার (৯ জুলাই) দেশে ২১২ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল (১০ জুলাই) দেশে ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন। রবিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, কভিড-১৯ এর যে ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন আছে তার মাধ্যমে মৃত্যু শুধু বয়স্ক মানুষের হচ্ছে না, তরুণদেরও হচ্ছে। বিভাগওয়ারি বিভিন্ন স্থানে আমরা দেখেছি, সব জেলাতেই কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। ঢাকা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ জন, চট্টগ্রামে ২০ জন ও রাজশাহীতে ১৩ জন, খুলনায় ৫১ জন মারা গেছেন। শনাক্তের হার ঢাকায় ৪৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, খুলনায় ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক দিনে ১৫ হাজার শনাক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না।
ডা. রোবেদ আমিন আরো বলেন, গত মাসে সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। জুন মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে প্রায় এক লাখ রোগীকে সংক্রমিত হতে দেখতে পেয়েছি। আমরা যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর চাপ যদি বাড়তেই থাকে আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা আর খালি থাকবে না। সারা দেশে গত মাসেও অসংখ্য বেড খালি ছিল, আইসিইউ বেড খালি ছিল। সেই খালি বেডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। সারা দেশে মাত্র ৩০০ এর মতো কভিড-১৯ আইসিইউ বেড খালি আছে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে বাইরে বের হচ্ছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।