নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুাসপুরে ইটভাটার ম্যানেজার নজরুল ইসলামের (৬৫) মৃত্যুর চার মাস পর কবর থেকে তার গলিত মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার চাঁচকৈড় পুরানপাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. তাছমিনা খাতুন ও ডিজি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. তাছমিনা খাতুন জানান, গলিত মরদেহটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন রিপোর্ট হাতে পেলে আদালতে দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এসময় গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম ও মামলার বাদী শাহাবুদ্দিনসহ তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাতে নজরুল ইসলামের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহটি দাফন করা হয়েছিল। মৃত্যুর আগে নজরুল ইসলাম চাঁচকৈড় খোয়ারপাড়ার ‘এমডিবি ব্রিকস্’ নামক একটি ইটভাটায় ম্যানেজার হিসেবে প্রায় ১৫ বছর কাজ করতেন।
এদিকে, নজরুল ইসলামের মৃত্যুর ২২ দিন পর গত ৫ ডিসেম্বর তার ছেলে শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (গুরুদাসপুর) একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইটভাটার মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম, ভাই বাবু, বাবা দশরত আলী ও ক্যাশিয়ার রান্টু প্রামানিককে আসামি করা হয়। একই সাথে মরদেহ উত্তোলন করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আদালতে আবেদন জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।