মেঘনার চরের ৮০০ একর জমিতে বাহারি তরমুজের আবাদ
জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলাকে তিন দিক থেকে ঘিরে রাখা দুই বড় নদী মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার মধ্যে সরকারি হিসাবে ৭৪টি চর আছে। এ বছর প্রায় চরের ৮০০ একর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
মধুপুর ও চর বৈরাগীর পাশে আছে কানিবগা, ভোলা, মদনপুর ও বারাইপুর চর। মেঘনার মধ্যে মাইলের পর মাইল এলাকায় চর পড়েছে। ভাটার সময় শুকিয়ে যায়। লোকজন হেঁটে এক চর থেকে আরেক চরে যায়। ঘাট বলে কিছু নেই। চরের এক স্থানে আমাদের নামিয়ে দিলে, কাদা-পানি ভেঙে মূল চরে যাই। চরে নেমে দেখি, চারদিকে সবুজ আর সবুজ। শুধু ফসল। যেন সবুজের চর।
সেখানে আছে, চিচিঙ্গা, শসা-ক্ষীরা, বেগুন-টমেটো, ঝিঙে, লাফা-বরবটি, ধুন্দুল, কুমড়া, লাউ, নানা রকম মরিচ, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ-রসুন, বাদাম, সয়াবিন, ধনে, ডাঁটা আর তরমুজ। কী নেই চরে! কলাই, গম, সবজির খেত ডিঙিয়ে তরমুজের খেতে এসে দেখি, চরের দক্ষিণ পাশটায় একরের পর একরজুড়ে তরমুজ আর তরমুজ। বাহারি আকারের তরমুজ। ডোরাকাটা, কালচে, সবুজাভ গোলাকার, লম্বাটে। ওজন ৩ থেকে ১৩ কেজি। শ্রমিকেরা তরমুজ কেটে ট্রলারে তুলছেন। সেই ট্রলার যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
মধুপুর ও বৈরাগীর চরে আবুল হাসান কেরানি, আবু বকর, মো. আনিস, হাজি আ. মান্নান, নিজামউদ্দিন, সফিক মোল্লা, মঞ্জুর মিঞাজি, শাহিন মাস্টার, আলী হোসেন, আলাউদ্দিন, আবদুর রাজ্জাকসহ ৫৪ জন কৃষক প্রায় ৮০০ একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন।
কৃষক মো. লতিফ মিয়া বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ২০ একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলের আকার ভালো। তবে মিষ্টিপানি পেলে আরও ভালো হতো। শাহাবুদ্দিন রোববারই প্রথম দুই হাজার তরমুজ কেটেছেন। যেগুলো কেটেছেন, সেগুলোর আকার ৭ কেজি থেকে ১৩ কেজি। এ তরমুজ তিনি ফেনীতে বিক্রি করবেন।
লতিফ মিয়া বলেন, এ বছর এক একর জমি থেকে কমপক্ষে দেড় হাজার মানসম্পন্ন তরমুজ পাওয়া যাবে। ঢাকার আড়তে ১০০ তরমুজ ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। যদিও এসব তরমুজের আকার ১২-১৫ কেজি। তবে ভোলার বাজারে ৫-৬ কেজির তরমুজের ১০০টি বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।