জুমবাংলা ডেস্ক : মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে একই কলেজের ৩৯ শিক্ষার্থী। নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর ৪০-৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পায়। এ বছর এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩৯ শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রতিবছর এই কলেজের সাফল্যের কারণে কিছু দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কলেজটি ঘুরে গেছেন। কলেজটি থেকে প্রতিবছর উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শুধু বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে নয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ নামকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও মেধাতালিকায় সুযোগ পাচ্ছে।
মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ, রংপুর মেডিকেল কলেজ, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, পাবনা মেডিকেল কলেজ, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ, নীলফামারী মেডিকেল কলেজ, সিলেট মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
রাজশাহী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আনিকা বুশরা জানান, আলহামদুলিল্লাহ। শিক্ষক, অভিভাবক ও নিজের চেষ্টায় মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছি।
অন্যান্য মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া আফিয়া হুমায়রা, রাজিউর রহমান রাজু, প্রীতম কুমার রায় জানান, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আন্তরিকতা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ফলে এগিয়ে থাকে। কেউ কেউ জীববিজ্ঞান প্রভাষক আতাউর রহমানের নাম স্মরণ করেন।
আবার নিন্দুকেরা বলছেন, সবসময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়। সে কারণে প্রতিবছর এ ধরনের ফল হচ্ছে। গ্রামের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ফল করে দেখাক তা হলে আমরা বুঝব প্রতিষ্ঠানটি ভালো করছে। এ ছাড়া ইদানীং শিক্ষার্থীদের মারধর করাসহ নানা কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করছেন।
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক জানান, নিয়মশৃঙ্খলা ও শিক্ষকদের মানসম্মত শিক্ষাদানের ফলে প্রতিষ্ঠানটি দেশ-বিদেশে সুনাম বয়ে এনেছে। যদিও এর আগে কলেজটির নাম ছিল সরকারি কারিগরি কলেজ। এখানকার অনেক ছাত্রছাত্রী দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর এই কলেজ থেকে ২৬৮ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ২৪৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৩৯ জন।
এর আগে এই কলেজ থেকে ২০২০ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৮ জন এবং ২০১৮ সালে ৩৬ শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।