মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ এবং তিরুবনন্তপুরমের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানীদের একটি দল মেশিন লার্নিং কৌশল ও এক্স-রে তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে হাজার হাজার নতুন বস্তুর প্রকৃতি সনাক্ত করে। মেশিন লার্নিং হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি শাখা।
এ গবেষণায় আরো কাজ করেছেন প্রফেসর সুদীপ ভট্টাচার্য এবং মিস্টার শিবম কুমারন সহ অধ্যাপক সমীর মন্ডল এবং প্রফেসর দীপক মিশ্র। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞান একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বড় পরিসরের গবেষণা এবং সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এই আবিষ্কার আমাদের মহাবিশ্বকে নতুন করে বুঝতে সহায়তা করবে । ডাটা প্রসেস করার বিষয়টি ম্যানুয়ালি করা বেশ কঠিন। এজন্য বিজ্ঞানীরা মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সহজে এবং কম সময়ে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চন্দ্র মহাকাশ মান মন্দির থেকে এক্স-রের মাধ্যমে কয়েক হাজার কসমিক অবজেক্ট পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে । মৌলিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিপ্লব ঘটানোর জন্য মেশিন লার্নিং কৌশল বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
প্রায় ২ লক্ষ ৭৭ হাজার কসমিক অবজেক্ট এর উপর এ কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে। এ গবেষণার ফলে ব্ল্যাক হোল, নিউট্রন স্টার, শ্বেত বামন ও নক্ষত্র নিয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুসন্ধানের পথ তৈরি করে দিয়েছে।
যারা জ্যোতির্বিজ্ঞানী কাজ করে তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর ফলে নতুন কসমিক অবজেক্ট সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। এই স্টাইলের গবেষণা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকলে জ্যোতির্বিদ্যার মৌলিক বিষয়ে মেশিন লার্নিং কৌশল প্রয়োগ ইতিবাচক দিক বয়ে আনবে।
রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক বিজ্ঞপ্তিতে এ গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয় এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।