স্পোর্টস ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। তাই যার যার দলের সেরা খেলোয়াড়কে কোনোরকম ইনজুরিতে পড়তে দিতে রাজি নন কোচসহ সতীর্থরা।
তবে লিওনেল মেসির বেলায় এ আবেগটা যেন একটু বেশিই কাজ করে তার সতীর্থদের হৃদয়ে। মাঠে মেসির একটু হোঁচটই যেন আলবিসেলেস্তেদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু করে দেয়। যে কারণে মেসিকে ফাউল করা হলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে তার সতীর্থদের মাঝে। অনেকে মেজাজ হারান।
এমন দৃশ্যেরই দেখা মিলল শনিবার মিয়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে।
এদিন হন্ডুরাসের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় পায় আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি।
ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করা আর্জেন্টিনাকে ঠেকাতে বেশ কয়েকটি ফাউলের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে হন্ডুরাসকে। এ সংখ্যা ১২টির কম নয়।
আর সব ফাউল নিয়ে তেমন বাকবিতণ্ডার দেখা না মিললেও ৩৮ মিনিটে করা ফাউলের পর ক্ষোভ ঝাড়েন গোটা আর্জেন্টিনা দলই। কারণ ওই ফাউলের শিকার হয়েছিলেন দলের অধিনায়ক মেসি। সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, পুরো আর্জেন্টিনা দলই রীতিমতো তেড়ে এসেছে ফাউল করা দেইবি ফ্লোরেসের দিকে!
তবে ফাউলটি গুরুতর না হওয়ায় এবং পরক্ষণেই মেসির উঠে দাঁড়ানোয় মাথা ঠাণ্ডা হয় তার সতীর্থদের। রেফারিও ঘটনাটিকে বাড়তে দেননি।
ওই ফাউলের ৬ মিনিট পরই গোল পান মেসি। ৪৫ মিনিটে বক্সে লাওতারোকে ফাউল করার ফলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। সফল স্পটকিকে বল জালে জড়ান লিওনেল মেসি।
মেসিকে জড়িয়ে উদ্বেগ আর ভালোবাসার এমন বহিঃপ্রকাশ শনিবারের ম্যাচে দেখা গেলেও এর ইঙ্গিতটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা একটা সিংহের দল, যারা মেসির জন্য লড়াই করি’ । মেসির আরেক সতীর্থ আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল বলেছিলেন— ‘লিও যদি বলে তোমরা যুদ্ধে নেমে যাও, তা হলে আমরা যুদ্ধে নেমে যেতেও রাজি।’
ভিডিওতে দেখুন—
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।