স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আর্জেন্টিনার মতো ফেভারিট দলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চমকে দিয়েছে সৌদি আরব। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি সৌদি দলের প্রশংসাও করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সঙ্গে আর্জেন্টাইন মহাতারকার অন্য সম্পর্কও আছে। সৌদি আরবের সঙ্গে তিনি পর্যটন চুক্তি করেছেন।
লোহিত সাগরের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণাও করেছেন। সৌদির ‘ভিশন ২০৩০’-এর অংশ হিসেবে দেশটির পর্যটনকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতেই এই প্রয়াস।
তাহলে সমস্যাটা কোথায়? খেলাধুলাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, এই চুক্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে করতে চেয়েছিল সৌদি। কিন্তু পর্তুগিজ মহাতারকা রাজি হননি। সৌদি আরবের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার শুরু করলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। যেমন―সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা, নারী অধিকার খর্ব করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের প্রতি কঠোর আচরণ ইত্যাদি।
সৌদি জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তুর্কি আল-শেখের সঙ্গে খুব খাতির মেসির। তিনি সতীর্থদের নিয়ে সৌদিতে আল-শেখের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। জন্মদিনে পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা। সৌদি সরকারের সঙ্গে লিওনেল মেসির এই পর্যটন চুক্তির সমালোচনা করেছেন খালিদ আল-জাবরি নামের এক সৌদি নাগরিক। যার বাবা ড. সাদ আল-জাবরি সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা। খালিদের দুই ভাই-বোনকে এখন সৌদির কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
সেই খালিদ দ্য অ্যাথলেটিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মেসির মতো খেলোয়াড় সৌদির হয়ে ভূমিকা রাখবে, তাতে আমার আপত্তি নেই। কারণ দেশ যারা চালান, তাদের নৃশংসতার কারণে সৌদির ফুটবলপ্রেমীদের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা উচিত হবে না। কিন্তু আমি যে সমস্যাটা দেখতে পাচ্ছি, সেটা হলো খেলাধুলা দিয়ে সব কিছু ঢেকে দেওয়ার প্রচেষ্টা! এর হাতিয়ার হিসেবে মেসি নিজেকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছেন। তিনি (মেসি) আসলে নিজেকে শয়তানের কাছে বিক্রি করেছেন!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।