জুমবাংলা ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের নদী থেকে স্বপ্না দাস (১২) নামের এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
পরিবারের দাবি, হত্যার পর নদীতে ফেলে রাখা হয়েছে মৃতদেহ। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর খ্রিস্টান পরিবারের এই মেয়ে টয়লেটে যাবার কথা বলে নিখোঁজ হয়। রোববার ভোরে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় নদীতে পাওয়া যায়।
স্বপ্না দাস বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশী পাড়া গ্রামের রবিন দাসের মেয়ে এবং ওই উপজেলার মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সন্ধায় স্বপ্না দাস মাছ রান্নার জন্য মাকে সাহায্য করছিল। এর এক পর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে সে রান্নাঘর থেকে বের হয়। তবে এরপর সে আর ঘরে ফেরেনি। তাকে খোঁজার সময় টয়লেটের সামনে তার পায়ের জুতা ও পানির পাত্রটি পড়ে ছিলো। অবশেষে রোববার সকালে বাড়ির পাশের তিরনই নদী থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
বালিযাডাঙ্গী চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার চ্যাটার্জী বলেন, গ্রামবাসীর মধ্যে কেউ কেউ কুসংস্কারের কথা বলছেন যে, মেয়েটিকে জীন বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে নদীতে ডুবিয়ে মেরেছে। তবে বিষয়টি পুলিশ দেখছে। অবশ্যই এর একটা সঠিক কারণ সামনে আসবে।
অপরদিকে স্বপ্নার মা আসন্তা দাস ও বাবা রবিন দাসের দাবি, তার মেয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুস সবুর বলেন, এটি যে কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তা বোঝাই যাচ্ছে। তদন্ত করার পর বলা সম্ভব হবে স্বপ্নার মৃত্যুর রহস্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।