আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজকালকার দিনের বাচ্চারা মোবাইল, ল্যাপটপের মতো বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ওস্তাদ। অনেক বাচ্চাই খাওয়ার সময় হাতে মোবাইল না পেলে খেতে চায় না, অনেকের আবার ঘুমনোর আগে মা-বাবার মোবাইলে খানিক গেম না খেললে ঘুমই আসে না।
এমনই এক প্রায় দু’বছরের ছেলের কাণ্ড শুনে চোখ কপালে উঠছে নেটপাড়ার বাসিন্দাদের। কেন? কারণ, নিউ জার্সির বাসিন্দা ২২ মাসের আয়াংশ ‘কুমার মোবাইল থেকে অর্ডার করে ফেলেছে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দামের আসবাব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই খবর ।
বিশেষজ্ঞরা নানা সময়ই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিতে নিষেধ করেন। দিলেও, সেটির একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা বলেন অভিভাবকদের। মোবাইলে নম্বর কিংবা সাধারণ লক থাকলে, এখনকার বাচ্চারা খুব সহজেই তা ধরে ফেলে এবং মোবাইল খুলে নানা কাজ করতেও শিখে যায় তাড়াতাড়ি। ফলে অনেক সময়ই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ওয়েবসাইটে হাত লেগে খুলে যায় সেটি। আয়াংশের ক্ষেত্রেও ঘটে এমনই ঘটনা।
ডায়াপার পরা আয়াংশ নিজের মায়ের ফোন থেকে দু্র্ঘটনাবশত একটি দামি আসবাবপত্র অনলাইনে অর্ডার করে ফেলে। পরে কোনও সময় ওয়ালমার্ট নামের ওই সংস্থার অনলাইন শপিং কার্ট দেখতে গিয়ে আয়াংশের মা মধু দেখতে পান অনেক আসবাবই রয়েছে সেখানে। কিন্তু তিনি খেয়াল করেননি একটির অর্ডারও হয়ে গিয়েছে। আয়াংশের বাবা প্রমোজ কুমার বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।’ নিজেদের নতুন বাড়ির জন্য মাঝে মাঝেই ওয়ালমার্টের সাইট খুলে আসবাব দেখতেন মধু ও প্রমোদ। সেখান থেকেই কোনও ভাবে আয়াংশের হাত লেগে দামি আসবাব অর্ডার হয়ে যায়।
মধু ও প্রমোদ বুঝতে পারেন, যখন বাড়িতে একের পর এক বক্স আসা শুরু হয়। কোনও কোনওটি এতই বড় যে, বাড়ির দরজা দিয়েই ঢুকতে চাইছিল না।
তখন ওয়ালমার্টের অ্যাকাউন্টে মধু দেখতে পান চেয়ার, টেবিল, ফুল রাখার স্ট্যান্ডের মতো একাধিক জিনিস অর্ডার দেওয়া হয়েছে, যা ঘরে প্রয়োজন নেই। ছেলের অর্ডার দেওয়া জিনিস শেষ পর্যন্ত কী করলেন তাঁরা, সে কথা অবশ্য জানা যায়নি। যদিও, এর পর থেকে মোবাইলে ফেস লক করে রাখার ভাবনা ভেবেছেন মধু ও প্রমোদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।