জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় স্কুলে ফল জানতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও তাকে একাধিকবার জোর করে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর ওই ঘটনা ঘটলেও রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকা থেকে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত ধর্ষক বদরুল আহাম্মদ খানকে আটক করে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ধর্ষক বদরুল আহাম্মদ খানকে (২৪) গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার বদরুল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়া সাগুন এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে নির্যাতনে শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে রোববার দিবাগত রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলার পর ওই রাতেই কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দেওপাড়া থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, মোবাইল ফোনে বদরুলের সাথে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে মোবাইলে কথা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ওই ছাত্রী তার স্কুলে ফলাফল আনতে যায়। পরে জাঙ্গালীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশা যোগে তুলে নিয়ে বদরুল তার এক বন্ধুর ভগ্নীপতির বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় ভিকটিমের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেয়া হয়। মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে ঘটনার দু’দিন পর ২১ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার মা।
তিনি আরো জানান, ওই জিডির সূত্র ধরে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে রোববার রাতে উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার এবং ধর্ষক বদরুল আহাম্মদ খানকে আটক করে পুলিশ। বদরুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।