চাপ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের সামনে দাঁড়াতে পারল না অ্যাথলেটিক বিলবাও। স্যান ম্যামেসে প্রায় একা হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে—এক গোল ও দুটোতে সরাসরি অবদান রেখে।
অ্যাথলেটিক বিলবাও দারুণ লড়াই করেছে, চাপও তৈরি করেছিল মুহূর্তে মুহূর্তে। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পের ঝলসে ওঠা ফর্মের সামনে সব প্রতিরোধই ভেঙে পড়ল। তার একক আধিপত্যেই রিয়াল মাদ্রিদ ৩–০ গোলের বড় জয় তুলে নিল স্যান ম্যামেসে। এতে টানা তিন ড্রয়ের হতাশা কাটিয়ে লা লিগায় পুনরায় জয়ের স্বাদ পেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
১৫ ম্যাচ শেষে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। অন্যদিকে ২০ পয়েন্ট নিয়ে বিলবাও আছে টেবিলের আটে।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোলের খাতা খোলেন এমবাপ্পে। বরং রিয়ালই তখন গোল ঠেকাতে ব্যস্ত ছিল। নিকো উইলিয়ামসের একটি পাস কেটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আর্নল্ড বল ধরে ডানদিকে উঠে যান। সেখান থেকে তাঁর লম্বা পাস মাঝমাঠের কাছে পেয়ে যান এমবাপ্পে। তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে দলকে এগিয়ে দেন ফরাসি তারকা।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে দিয়ে করান রিয়ালের দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের শেষ দিকে নিজে আরেকটি গোল করে লস ব্লাঙ্কোসের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
এমবাপ্পের এমন দাপুটে পারফরম্যান্স শুধু রিয়ালের জয়ের ব্যবধান বাড়ায়নি, দলকে ফের আত্মবিশ্বাসও এনে দিয়েছে টেবিলের লড়াইয়ে।
বিরতির আগে রিয়ালের গোলটি দলগত পারফরম্যান্সের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এবারও রক্ষণ থেকে আক্রমণে উঠে তারা। থিবো কর্তোয়া, এডার মিলিটাও, আর্নল্ড, ফেদে ভালভার্দে, এমবাপ্পে, ভিনিসিউসসহ আরও কয়েকজনের পা ছুঁয়ে যাওয়া বল বেলিংহ্যাম বাড়িয়ে দেন আর্নল্ডের দিকে। বিলবাওয়ের বক্সের ডানদিক থেকে আর্নল্ড তা ভাসিয়ে দেন এমবাপ্পের মাথায়। ফরাসি তারকার হেডের পর কামাভিঙ্গার হেড। ব্যবধান হয় ২-০।
এমবাপ্পের শেষের গোলটিই সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন। ডি বক্সের বেশ কয়েক হাত দূর থেকে নেওয়া শট জালে প্রবেশ করে গোলরক্ষকের অনেকটা নাগালের বাইরে দিয়ে। এটা এবারের লিগে তার ১৬তম গোল। লা লিগায় তো বটেই, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যেই যা সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেছেন আরলিং হল্যান্ড। শুধু লিগ কেন, সবমিলিয়ে এমবাপ্পে এই মৌসুমে করেছেন ২৫ গোল। এটাও শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



