দিন দুয়েক আগেই ভারতের ক্রিকেটে এসেছিল বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ। অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে সেই অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগের পর এবার ভারতের ফুটবলের আঙ্গিনাতেও এসেছে বিতর্কের কালো ছায়া। তবে সেটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে না। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিতর্কিত সেই ঘটনা ঘটেছে দেশটির মিজোরাম রাজ্যে।
সবমিলিয়ে তিন ক্লাব, তিন কর্মকর্তা এবং ২৪ খেলোয়াড়কে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে নিষিদ্ধ করেছে মিজোরাম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এমএফএ)। মিজোরাম প্রিমিয়ার লিগ-২ এ ঘটেছে এই ঘটনা। যার কারণে নিষিদ্ধের তালিকায় আছেন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ফেলিক্স লালরুয়াতসঙ্গ।
একটি বিবৃতিতে, মিজোরাম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তার মাধ্যমে তারা লিগে দুর্নীতির ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছে, ‘কয়েকজন দুর্বৃত্তের সাথে জড়িত এই কার্যকলাপগুলি আমাদের মূল্যবোধের গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে। এসব ঘটনা আমাদের খেলার অখণ্ডতাকে ক্ষুন্ন করে এবং মিজোরাম ফুটবলের সমর্থনকারী ভক্তদের অসম্মানিত করেছে’।
‘এই ফলাফলের ফলস্বরূপ আমরা জড়িতদের কঠোর শাস্তি প্রদান করেছি। আমরা আশ্বস্ত করছি যে এই কার্যকলাপে জড়িত থাকা ক্লাবগুলো ভবিষ্যতে যেকোন প্রতিযোগিতায় নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে এবং জড়িত খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা সাসপেনশনে থাকবে। এছাড়া MFA দ্বারা উপযুক্ত বলে বিবেচিত অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পরবর্তীতে নেয়া হবে।’
রাজ্য অ্যাসোসিয়েশন যে তিনটি ক্লাবকে শাস্তি দিয়েছে সেগুলি হল সিহফির ভেঙ্গলুন এফসি, রামহলুন অ্যাটলেটিকো এফসি এবং এফসি বেথলেহেম। তিন ক্লাবের সকলেই তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে। তিনটি ক্লাবই শীর্ষ স্টেট লিগের অংশ এবং সিহফির শীর্ষ চারের মধ্যে শেষ হয়েছে।
তিন ক্লাবের একজন করে কর্মকর্তা ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া চানমারি এফসি এবং এফসি বেথেলহেমের দুজন খেলোয়াড় আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ১৪ খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হয়েছেন সিহফির ভেঙ্গলুন এফসি থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।