আসিফ নজরুল : ম্যারাডোনার মৃত্যু সংবাদ পাই রাত ১২ টার পর। সে হঠাৎ মারা যেতে পারে এটা বোধহয় জানতাম। তবু আমার মাথা গুলিয়ে উঠলো, বুক খালি হয়ে গেল। ঘুম ভুলে অনেক রাত পর্যন্ত ভাবি তার কথা। কেন এ ড্রাগ খাওয়া, চিট করা, গুলি ছোড়া মানুষটা এতো প্রিয় আমাদের?
সে ছিল ম্যাজিশিয়ান, বিদ্রোহী, বিজয়ী। ওয়ান অব দ্যা গ্রেটেষ্ট না, গ্রেটেস্ট। পেলে বা মেসি বা রোনাল্ডোর প্রতিভা অতিমানবিক, ম্যারাডোনারটা ঐশ্বরিক। অন্যরা গোল দিতে না পারলে পড়ে যায়, সে পড়ে যেতে যেতে গোল দেয়। অন্যরা ১১ জনকে নিয়ে খেলে, সে নিজে ১১ জনের খেলা খেলে। অন্যরা দলকে পরাজিত করে, সে পরাজিত করে সাম্রাজ্যকে।
আমাদের জীবন ম্যারাডোনাময়। ফকল্যান্ড যুদ্ধের পর ১৯৮৬ সালে তার ইংল্যান্ড জয়ে আমরা কি দেখিনি নিজেরও সবচেয়ে আনন্দময় বিজয়? বিশ্বকাপ তুলে ধরা তার হাত কি আমাদেরও হাত না?
আমাদের কাছে পৃথিবী-র দুভাগ। একভাগ ম্যারাডোনার খেলা দেখেছে। আরেকভাগ দেখেনি। আমাদের জীবন অনেকটা ডিফাইন্ড ম্যারাডোনা প্রেমে।
কেমন করে তাহলে মৃত্যু হয় ম্যারাডোনার? আমাদের জীবিতকালে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।