জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীতে একটি ড্রেনে টাকা ভেসে যাওয়ার কারণ জানা গেছে। শনিবার রাজশাহী রেলওয়ে অফিসার্স মেস ভবনের সামনের ড্রেনের ময়লা পানিতে টাকা ভেসে যেতে দেখা যায়। অনেকে সে টাকা সংগ্রহ করেন। তাদের কেউ পেয়েছেন ৫০০, কেউ ১০০, ২০, ১০ অথবা ৫ টাকার নোট।
খবর শুনে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ড্রেনের কাছে ছুটে যান। পরে তারা টাকার রহস্য খুঁজে পান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনে এক হাজার, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ এবং ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন এবং পরে অনেক মানুষ নেমে পড়েন ড্রেনে।
টুলু নামের এক ভাঙারি বিক্রেতা তার কুড়ানো টাকাগুলো রেখেছিলেন পকেটেই। তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন।
আসলাম নামের আরেকজন জানান, তিনি ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রথমে টাকা কোথা থেকে এল তা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এর রহস্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাকাগুলো রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের। সেগুলো পুরোনো কাগজপত্রের ভেতর ছিল। নগরীর শিরোইল এলাকায় সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়। শনিবার দুপুরে সেখান থেকে কাগজের সঙ্গে খেয়াল না করে টাকাগুলোও ফেলে দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, আমরা খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছি। ভাবতেই পারিনি পুরোনো কাগজের ভেতর টাকা থাকতে পারে। তিনি বলেন, কাগজগুলো ৮/১০ বছর আগের। পচে গেছে। পোড়ানোর উপায় নেই। তাই ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ড্রেনে টাকা পাওয়ার খবর শুনে আমরাও সেখানে যাই। তারপর ঘটনা দেখি।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে দুই-তিন হাজার টাকা থাকতে পারে। কিন্তু খবর ছড়িয়েছে অনেক টাকা পাওয়া গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।