আমরা জানি, আলো প্রতি সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার পাড়ি দেয়। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো এসে পৌঁছাতে লাগে প্রায় সাড়ে ৮ মিনিট। একদম সঠিকভাবে বললে, সূর্যের দৃশ্যমান পৃষ্ঠ ছেড়ে বেরোনোর পর পৃথিবীতে এসে পৌঁছাতে আলোর ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ডের মতো লাগে। এই সূত্র ধরেই বলা হয় সূর্যের বুকে যদি থেমে যায় ফিউশন বিক্রিয়া; যদি মৃত্যু হয় সূর্যের, তাহলে আমরা সেটা টের পাব ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড পর। এই কথাটা একদম ভুল!
আমরা জানি, সূর্যের বুকে নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়ায় হাইড্রোজেন-হাইড্রোজেন যুক্ত হয়ে তৈরি করে হিলিয়াম। এ সময় যে শক্তি বেরিয়ে আসে, তা-ই আমরা দেখি আলো হিসেবে। কিন্তু সূর্যের কেন্দ্রে এই যে বিক্রিয়া হচ্ছে, সেখান থেকে সূর্যের পৃষ্ঠে আলো (বা বিক্রিয়ায় সৃষ্ট শক্তির) এসে পৌঁছাতে লাগে ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ বছর।
সূর্যের ঘন গ্যাসীয় স্তর পাড়ি দিতে এই সময় লেগে যায় আলোর। অর্থাৎ কেন্দ্রে নিউক্লিয়ার ফিউশন বন্ধ হয়ে গেলেও আরও প্রায় দুই লাখ বছর সূর্য জ্বলবে স্বাভাবিকভাবেই। তারপর হয়তো পৃথিবী টের পাবে, নিভে গেছে সব আলো।
সৌরজগতের সবচেয়ে ভারী বস্তু সূর্য। সে জন্য অনেকে এই নক্ষত্রটিকে বলেন সৌরাধিপতি। একে ঘিরেই ঘুরছে সবকটি গ্রহ। অনেক সময় বলা হয়, সূর্যের জায়গায় যদি সমভরের কোনো বস্তু বসিয়ে দেওয়া হয়—সেটা হতে পারে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর কিংবা আর কিছু—তখন সেটা হয় গিলে নেবে গ্রহগুলোকে, অথবা গ্রহেরা সব ছিটকে যাবে বাইরের দিকে।
আসলে তা হবে না। সমভরের কোনো বস্তু দিয়ে সূর্যকে বদলে দেওয়া হলেও গ্রহগুলো একই কক্ষপথে ঘুরে চলবে। তবে সূর্যের চেয়ে ভারী বস্তু হলে সেটা গ্রহগুলোকে নিজের দিকে টেনে নেবে। আর কম ভারী বস্তু হলে গ্রহগুলোর কক্ষপথ বাইরের দিকে চলে যাবে। কেন্দ্রীয় বস্তুটি যথেষ্ট ভারী না হলে ছিটকেও যেতে পারে গ্রহগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।