জুমবাংলা ডেস্ক: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তিল চাষ। চরের মাটি বেলে ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় কম পরিশ্রমে তিলের ভালো ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হয়। বাজারে তিলের চাহিদাও রয়েছে।
ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তিলচাষির সংখ্যা। যমুনার ভাঙনে সব হারানো কৃষকরা তিল চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছেন।
স্থানীয়রা জানান, যমুনার চরাঞ্চলে ফসলের ফলন বেশ ভালো হয়। এখানে সারা বছর নানা ধরনের ফসলের আবাদ হয়ে থাকে। চলতি বছর তিলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ও তিল ঘরে তুলতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন চরাঞ্চলের তিলচাষিরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, যমুনার চরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তিলের আবাদও হয়েছে। যতদূর চোখ যায়, শুধু তিলের সবুজ গাছের সমাহার। বেশ কিছু অংশে তিল পরিপক্ব হয়ে উঠেছে। কয়েক দিনের মধ্যে সংগ্রহ করবে চাষিরা। চলতি মৌসুমে যমুনার চরাঞ্চলে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে তিলের চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ৯ থেকে ১০ মণ তিল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
যমুনা চরের তিলচাষি আকবর আলী, রাসেল মাহমুদ, জহির উদ্দিনসহ অনেকে জানান, আগের তুলনায় চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে তিলের আবাদ তুলনামূলক ভালো। তিল চাষ সহজ ও লাভজনক। জমির মাটি সমান করে বীজ ছিটানোর তিন মাস পর সেচ, সার, কীটনাশক ছাড়াই তিল ঘরে তোলা যায়।
বৈশাখী চরের বিলাত আলী বলেন, এক বিঘা জমিতে তিল চাষ করেছি। উচ্চফলনশীল বীজ ব্যবহারে ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি, বিঘাপ্রতি আট-১০ মণ করে তিল পাবো।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, তিল একটি তৈলজাত ফসল। যা আমাদের দেশে আগে খুব কম চাষ করা হতো। এখন ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিল অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতেও ফলানো সম্ভব। আর তিল উৎপাদনে খরচ ও পরিশ্রম কম লাগে। আমরা চাষিদের বিভিন্নভবে সহযোগিতা করছি। আশা করছি আগামীতে তিল চাষের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।