বিনোদন ডেস্ক: রানাঘাটের রাণু মণ্ডল। একসময় স্টেশনে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন তিনি বিখ্যাত। রানাঘাট থেকে বলিউড, সবাই এখন তার কণ্ঠে মাতোয়ারা। তাকে এখন এক ডাকেই ভারত চেনে।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি এখন সেলেব্রিটি। এমনকী হিমেশ রেশমিয়াও তার কণ্ঠকে অভিবাদন জানিয়েছেন। কিন্তু নেটিজেনদের অভিযোগ, মিষ্টভাষী, নম্র রানু নাকি এখন আমূল বদলে গেছেন। তার মধ্যে নাকি ক্রমশ ঢুকে পড়ছে ঔদ্ধত্যের চোরা স্রোত।
গত ২০ জুলাই লতা মঙ্গেশকরের ‘প্যায়ার কা নগমা’ গানটি গেয়ে রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়ে উঠেছিলেন রাণু মণ্ডল। সেই গান ভাইরাল হতেই ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে তার কণ্ঠের প্রশংসার বন্যা বয়ে গিয়েছিল। একাধিক জায়গা থেকে নিমন্ত্রণ আসছিল রাণুর কাছে। কিন্তু মোবাইল নেই। তাই যোগাযোগ একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ভাগ্য দরজায় যখন কড়া নাড়ে, বাধা তখন ক্ষণস্থায়ী। যিনি রাণুকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করেছিলেন, সেই অতীন্দ্রই এগিয়ে এলেন এই দুঃসময়ে।
অতীন্ত্র পেশায় ইলেকট্রিক্স টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। রানাঘাট স্টেশন দিয়ে তার নিত্য যাতায়াত। স্টেশন চত্বরে রাণুর গান শুনে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। তার গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনিই। এবার যখন রানু সমস্যায় পড়লেন, আবারও অতীন্দ্রই এগিয়ে এলেন। সর্বত্র নিজের মোবাইল ফোনের নম্বরটাই দিয়ে দিলেন। রাণুর সকল দরকারি ফোন এখন তার কাছেই আসে। এমনকি মুম্বাই যাওয়ার সময়ও তিনি রাণু মণ্ডলকে আগলে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এর প্রতিদান কীভাবে দিলেন রাণু?
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে রানুকে প্রশ্ন করা হয়, এই যে অতীন্দ্রের মতো মানুষের দৌলতে তিনি এত জায়গায় যাচ্ছেন, তাকে নিয়ে তিনি কী বলবেন? সচরাচর এর উত্তরে লোকে বলে, “ভাল”। কিন্তু রানু তা বলেননি। উল্টে তিনি যা বলেছেন, তাতে বেশ চটেছেন নেটিজেনরা। রাণু বলেছেন, “ভগবানের দৌলতে যাচ্ছি। ওরা ভগবানের চাকর। আমি ওদের সাহায্যে যাচ্ছি না। ভগবানের সাহায্যে যাচ্ছি। ওরা ভগবানের চাকর হয়ে যাচ্ছে।”
রানুর এই মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
একসময় রানুর গানের ভিডিও লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছেছে, সেখান থেকে তিনি আজ মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন। আর এখন এই ভিডিওটি যেন আরও বেশি করে ভাইরাল হচ্ছে, কারণ রানুর এই ‘রূপ’ অনেককেই অবাক করছে।
অনেকে প্রচণ্ড ক্ষোভপ্রকাশ করে বলছেন, যে মানুষটা তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিল তাঁকে এভাবে অপমান করে তিনি ঠিক করেননি। এটাই নাকি তাঁর ‘আসল’ রূপ, এতদিন বাইরে এসেছে।
অনেকে তাকে সমর্থন করে বলছেন, তিনি এসবে অভ্যস্ত নন, হঠাৎ ক্যামেরা দেখে বিভ্রান্ত হয়ে এসব বলেছেন। সারাজীবন তিনি এসবের কথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি, তাই এখন মানিয়ে নিতে না পেরে অযৌক্তিক কথা বলছেন।
অপরদিক, একাংশ নেটিজেনদের মতে, পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মত এই সাফল্য হজম করতে পারছেন না তিনি। ঔদ্ধত্য প্রকাশ পাচ্ছে তার গলায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।