আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ গুলির ঘটনা ঘটে। অঙ্গরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর পাবলিক সেফটি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।
বন্দুকধারী সালভাদর রামোস পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাউথ টেক্সাসের উভালদে শহরের যে স্কুলটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটির নাম রব এলিমেন্টারি স্কুল। এর আগে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট জানিয়েছিলেন, গুলিতে এক শিক্ষক ও ১৪ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সালভাদর রামোস নামের ১৮ বছর বয়সি এক তরুণ ওই হামলা চালিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গুলির ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনে গ্রেগ অ্যাবোট বলেন, ওই সময় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বন্দুকধারী একাই হামলা চালিয়েছেন। তবে কেন হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
গ্রেগ অ্যাবোট বলেন, বন্দুকধারী সালভাদর রামোস গাড়ি নিয়ে ওই স্কুলে ঢুকেছিলেন। তার হাতে একটি বন্দুক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে আরেকটি রাইফেল ছিল।
এ ঘটনার পর দেশটির জাতীয় পতাকা আগামী ২৮ মে পর্যন্ত অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
হামলায় হতাহতদের নেওয়া হয়েছে এসএসজিটি উইলি ডি লিওন সিভিক সেন্টারে। বাইরে অপেক্ষায় স্বজনরা।
এদিকে উভালদের পুলিশ কর্মকর্তা পিট আরেদোন্দো জানিয়েছেন, যারা নিহত হয়েছে, তারা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় যারা এসব শ্রেণিতে পড়ে, তাদের বয়স সাধারণত ৭-১০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে।
এ হামলা ১০ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোর একটি সুপারমার্কেটে গুলি চালানো হয়। এতে ১০ জন নিহত হয়। ওই সময় যে গুলি চালিয়েছিলেন তার বয়সও ছিল ১৮ বছর। পুলিশ ধারণা করছে, সেটি ছিল বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে এর আগেও হামলা হয়েছে। তবে বিগত ১০ বছরে যেসব হামলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সাসের এ হামলা। এর আগে ২০১২ সালে কানেকটিকাটে একটি স্কুলে হামলা চালানো হয়। ওই হামলা ২০টি শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়। নিহত ওই শিশুদের বয়স ছিল পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিহত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।