যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ট্রাম্প-মেলানিয়ার মিম কয়েন

ট্রাম্প-মেলানিয়ার মিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির পর মেলানিয়া ট্রাম্প এবার নিজের মিম কয়েন মেলানিয়া চালু করেছেন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এ নিয়ে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করেছেন মেলানিয়া।

ট্রাম্প-মেলানিয়ার মিম

এই কয়েনের ওয়েবসাইটে ‘মেলানিয়া মিমিস’কে ‘সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি এবং ট্র্যাক করা ফাঞ্জিবল ক্রিপ্টো অ্যাসেট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মেলানিয়ার এই কয়েন এমন সময়ে চালু হলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এর সম্প্রদায়কে আলিঙ্গন করেছেন এবং তিনিও এখন নিজের ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে বলেন, আমার নতুন অফিসিয়াল ট্রাম্প মিম এসেছে! এটি উদযাপন করার সময়। আমরা যা প্রতিনিধিত্ব করি তার জন্য জয়! আমার বিশেষ ট্রাম্প কমিউনিটিতে যোগ দিন। এখনই ডলার ট্রাম্প কিনুন। ট্রাম্প মিম কয়েন ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এর সার্বিক বাজারমূল্য ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর ট্রাম্প এবং ট্রাম্পের কোম্পানিগুলোর মুনাফার পরিমাণও ছাড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার।

গত শুক্রবার রাতে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে একটি ‘ক্রিপ্টো বল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখান থেকেই তিনি তার নিজস্ব মিম কয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির উন্মোচন করেন। তার ওয়েবসাইটে এটিকে ‘ট্রাম্পের একমাত্র অফিশিয়াল মিম’ কয়েন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে ট্রাম্পের নাম ব্যবহার করে একাধিক মিম কয়েন তৈরি হলেও এগুলোর কোনোটি তার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।

ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারের তথ্য নিয়ে কাজ করা কয়েনগেকোর তথ্যানুসারে, ট্রাম্পের মিম কয়েনের একেকটির মূল্য রাতারাতি ৬০০ শতাংশ বেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে ৩২ ডলারের ওপরে ওঠে যায়। এর ফলে ট্রাম্পের এই মিম ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

কয়েনগেকো জানিয়েছে, এই মুদ্রার ৮০ শতাংশ মালিকানা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সহযোগী সিআইসি ডিজিটাল এবং সিআইসির আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ফাইট ফাইট ফাইট এলএলসির হাতে। ফাইট ফাইট ফাইট নামটি এসেছে জুলাই মাসে ট্রাম্পের ওপর হামলার সময় তার উচ্চারিত কথার অনুকরণে।

ট্রাম্পের অফিশিয়াল এই মিম কয়েনের শেয়ারগুলো তিন বছরের একটি ‘আনলকিং শিডিউলের’ অধীন থাকবে। যার ফলে এই সময়ের মধ্যে এসব কয়েনের শেয়ারের মালিকেরা পুরো মজুত একসঙ্গে বিক্রি করতে পারবে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ধারণা এবং এই শিল্পকে ট্রাম্প উষ্ণভাবেই গ্রহণ করেছেন। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি এটি ‘জাতীয় অগ্রাধিকার’ হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন এবং তা হয়তো এই সপ্তাহেই তা হতে পারে। এর আগে কোনো রাজনীতিক তাদের সমর্থকদের সরাসরি অর্থায়ন করার উপায় দেননি। ট্রাম্প এই প্রথম সেই কাজটি করলেন।

ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকে একটি প্রতারণা বলেছেন, তবে পরে তিনি প্রচারণার সময় এটি সমর্থন করেন এবং ডিজিটাল অ্যাসেট গ্রহণকারী প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন। তার সমর্থকরা ক্যাম্পেইনে চাঁদা দিতে পারেন যে কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে, যা কয়েনবেস কমার্স পণ্য দ্বারা গৃহীত হয়।

শহীদ আসাদ মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা

শুক্রবার ট্রাম্পের আসন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্রিপ্টো সিজার ডেভিড স্যাক্স ওয়াশিংটন, ডিসিতে প্রথম ক্রিপ্টো বল আয়োজন করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন্ডাস্ট্রি গত নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছিল।

তথ্য সূত্র : দেশ রূপান্তর