চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনটা ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে তারা। স্বাগতিকদের কাছে হার পাকিস্তানের জন্য অপ্রত্যাশিতই। কারণ শক্তিমত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ঢের এগিয়ে বাবর আজমের দল। তবে মাঠের ক্রিকেটে তার প্রমাণ মেলেনি।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এক প্রান্তে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবরের ৪৪ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে পাকিস্তান।
জবাবে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ঠিক ১৫৯ রানই তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে মোহাম্মদ আমিরের করা ওভার থেকে ১৮ রান নেয় স্বাগতিকরা। জবাবে ১৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে সুপার ওভারে জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাচ শেষে বাবর বলেছেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসেও আমরা সাহায্য পেয়েছি। কিন্তু বোলিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা মানসম্পন্ন ছিলাম না। প্রথম ১০ ওভারে এটার ঘাটতি ছিল। আমরা তারপর ফিরে এলেও ওরা তার আগেই মোমেন্টাম পেয়েছে। তবে আমাদের বোলিং বিচারে (রানের) পুঁজিটা ডিফেন্ড করা উচিত ছিল। এই পিচে আমাদের বোলিং বিচারে এটা ডিফেন্ড করার মতোই পুঁজি ছিল।’
‘বোলিংয়ে আমরা এর চেয়ে ভালো। প্রথম ৬ ওভারে আমরা উইকেট নিতে পারিনি। মাঝের ওভারগুলোয় স্পিনারেরা উইকেট নিতে না পারলে চাপে পড়তেই হবে। ১০ ওভার পর আমরা ম্যাচে ফিরলেও সুপার ওভারে ওরা ম্যাচটা যেভাবে শেষ করেছে তাতে কৃতিত্বটা যুক্তরাষ্ট্রেরই।’-যোগ করেন তিনি।
প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন লাপাতা লেডিসের প্রতিভা ও স্পর্শ
সুপার ওভারে বোলিং করতে এসে বেশ কিছু অতিরিক্ত রান দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। সবমিলিয়ে তার ওভার থেকে ১৮ রান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সুপার ওভার নিয়ে বাবর বলেন, ‘সে অভিজ্ঞ বোলার। সে জানে কীভাবে বোলিং করতে হয় এবং আমরা সে অনুযায়ীই ফিল্ডিং সাজিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানেরা বেশ স্মার্ট। বল উইকেটকিপারের হাতে থাকতেও তারা দৌড়েছে (রানের জন্য)। সুপার ওভারে এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।