যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চীনকে সবুজ সংকেত বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) চীনা পণ্যে আরোপিত মার্কিন শুল্কারোপের বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্যপ্রমাণ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরাসরি বেজিংকে ওয়াশিংটনের ওপর পাল্টা শুল্কারোপের সবুজ সংকেত দিয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান নীতিনির্ধারক সংস্থাটি। খবর রয়টার্স এর

এর আগে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি স্বতন্ত্র তদন্তে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানা এবং বিনিয়োগ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ইস্পাত এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদনে দেয়া বাড়তি প্রণোদনা চিহ্নিত করে। এসব সুবিধার মাধ্যমে চীনা কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় উৎপাদকদের চাইতে বেশি সুবিধা নিচ্ছে, এমন অভিযোগ আনা হয়। এই প্রণোদনাকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করেই ওয়াশিংটন প্রথম চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করে, যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় মামলা করে চীন। এরপর দীর্ঘ একবছরের বেশি সময় বাণিজ্য সংঘাত নিরসনের আলোচনা চললেও যুক্তরাষ্ট্রের একগুঁয়েমির কারণেই বরং তা ব্যর্থ হয়েছে। একইসময় জুড়ে বেড়েছে বাণিজ্য সংঘাতের তীব্রতা।

গতমাসে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধিরা। তারা এই তথ্যপ্রমাণাদির ন্যায্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। একইসঙ্গে তারা প্রতিবাদস্বরূপ সংস্থাটির বাণিজ্য বিরোধ নিরসন কমিশনের বৈঠকেও যোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গতমাসেই ডব্লিউটিও’র অ্যাপিলেট বিভাগ চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্কারোপ অবৈধ, এমন একটি রায়কে পুনর্বহাল রাখেন।

এদিকে মার্কিন প্রতিনিধিরা তাদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘বাণিজ্য বিরোধের আইনি অনুবাদে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ভুল করেছে। চীন ভর্তুকি এবং প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে ডব্লিউটিও’র নীতি ধারাবাহিকভাবে ভঙ্গ করছে। এটা একটা বিশাল বড় সমস্যা, যার প্রভাব পুরো বিশ্বের বাণিজ্য ব্যবস্থার ওপরেই আঘাত হানবে।’

সংস্থাটির রায় নিয়ে অবশ্য চীনও সন্তুষ্ট নয়। বিশেষ করে, ভর্তুকি নিয়ে ডব্লিউটিও’র রায়ে গড়পরতাভাবে চীন সরকারের পদক্ষেপকে দায়ী করা হয়েছে বলেই দেশটির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তবে এই রায় বাণিজ্য সংঘাতের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পরিস্কার শনাক্ত করেছে, এমন দাবি করেন তারা।