মধ্যপ্রাচ্যে মাটির নিচে সঞ্চিত পানি শুষ্ক দেশগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে যা খরা এবং তাপে হারিয়ে যায় না। এর ফলে স্থিতিশীলতা থাকা সত্ত্বেও লিবিয়ায় কৃষি কাজ ভালোভাবে চলছে। ইরাকে বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানি দশটি আরব দেশের মিঠা পানির প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কম বৃষ্টি আর অত্যন্ত গরমে নদী ও হ্রদ শুকিয়ে যাওয়া এই দেশগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু ভূগর্ভস্থ পানি হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে জমা হয়েছে। একে ফসিল গ্রাউন্ড ওয়াটার বলা হয়।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে এটি পুনরায় পূরণ করা বেশ কঠিন। বলতে পারেন খনিজ তালের মত এটি একবারই ব্যবহার করা যায়। বৃষ্টি হলে ওই ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ অবশ্য বেড়ে যায়। যে পরিমাণ পানি জমা আছে তার থেকে বেশি পানি উত্তোলন করা হলে বিপদ ঘনিয়ে আসবে।
কিন্তু ইয়েমেনের মত যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে এসব নিয়ম মেনে চলা বেশ কঠিন। তবে সৌদি আরবের মতো উন্নত দেশের পক্ষে তা সহজ। তবে মরোক্কয় অনেক অঞ্চলে এলাকাবাসী ভূগর্ভস্থ পানি নিয়মিত ব্যবহার করছে।
স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী আগের থেকে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের ভূগর্ভস্থ পানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এ পানি প্রাকৃতিক উপায়ে জমা রয়েছে। এটি শেষ হয়ে গেলে ঠিক কখন শেষ হবে তা বলা বেশ মুশকিল।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী লিবিয়া প্রায় ৬৫০০ টি কূপের প্রায় অর্ধেক ব্যবহার করে যেখানে তিউনিসিয়া এবং আলজেরিয়ায় কূপ অনেক কম। যেসব দেশ অনেক বেশি পানি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আইনগত সুযোগ নেই। পানির বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্ছে বেশি জটিল এবং এটির জন্য ভবিষ্যতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা একই টেবিলে বসতে বাধ্য। তা না হলে পানি নিয়ে ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যের বিপদজনক অবস্থা তৈরি হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।