আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান লড়াইয়ের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ রুশ হামলার অধীনে থাকা দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে আবারও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। মূলত রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রবল হামলার মুখে থাকা এসব শহর থেকে বেসামরিক মানুষকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসি’র।
পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলো মস্কো। রাশিয়ার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বুধবার (৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ এবং মারিউপোলে ফের মানবিক করিডোর চালুর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) থেকে এই করিডোর খুলে দেওয়া হবে।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলো। অবশ্য মস্কোর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়ার আগের দুই দফার যুদ্ধবিরতি অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, তারা সুমি শহর থেকে ৫ হাজার সাধারণ মানুষকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন। রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এটিই ছিল প্রথম সফল কোনো উদ্ধার কার্যক্রম।
তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মানবিক করিডোরের জন্য নির্দিষ্ট রুটে রুশ সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণের কারণে চেরনিহিভ শহর থেকে সাধারণ মানুষকে বের করে আনার একটি প্রচেষ্টা মঙ্গলবার ব্যর্থ হয়ে যায়।
এর আগে গত শনিবার প্রথম দফায় একটি খণ্ডকালীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কিছু সময় পরই নতুন করে বোমা হামলা শুরু হওয়ায় সেটি ব্যর্থ হয়। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
এরপর রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় খণ্ডকালীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ইউক্রেনের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও একটানা গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে রুশ সামরিক বাহিনী।
প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার পর ইউক্রেন দাবি করেছিল, রাশিয়া প্রতিশ্রুতি মতো মানবিক করিডর তৈরি করেনি এবং মারিউপোলের বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে বাধা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।