জুমবাংলা ডেস্ক : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ১৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের চার কর্মকর্তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বরখাস্তকৃতরা হলেন- মাগুরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরহাত নুর, বরগুনার উপপরিচালক আলী আশরাফ, ঝিনাইদহের সহকারী পরিচালক ফজলুল হক এবং রাজধানীর গুলশান ইউনিটের উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মতামত নেওয়ার পর চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
বরখাস্তকৃতরা ঢাকায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে থাকাকালে পারস্পরিক সহযোগিতায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি (এনএসপি) থেকে এ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি তাদের চাকরিচ্যুতির জন্য মতামত চেয়ে পিএসসিকে চিঠি দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। পিএসপি চাকরিচ্যুতির পক্ষে মতামত দেয়।
এরপর সোমবার বরখাস্ত চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। গত ২ ফেব্রুয়ারি ‘চাকরি হারালেন যুব উন্নয়ন ৪ কর্মকর্তা’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষিত আগ্রহী বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে আগ্রহী করতে ২০১০ সালে এনএসপি নেয় সরকার। কর্মসূচির নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি, শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা, গবাদিপশু পালন, চরিত্র গঠনমূলক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ ১০ বিষয়ে তিন মাস প্রশিক্ষণের পর বেকার যুবকদের কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সিলেটের জকিগঞ্জে এ কর্মসূচির প্রায় আড়াই কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়েই এই চার কর্মকর্তার ১৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও আত্মসাতে সহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠে, যা তদন্তে প্রমাণিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।