জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় শহরে ফোরকান (৩৮) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের ফুলতলা এলাকায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
নিহত ফোরকান শহরের ফুলতলা এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার নামে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ফুলতলা কাঁচাবাজারে একদল দুর্বৃত্ত ফোরকানকে ধাওয়া করে। ফোরকান দৌড়ে পালানোর সময় বাজারের বাইরে ইটপাড়া রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান।
এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা না গেলেও বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফোরকানকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, বগুড়া শহরের এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীনের মামাতো ভাই ফোরকান। বেশ কয়েক বছর আগে প্রতিপক্ষের হাতে শাহীন খুন হন। এ ছাড়া গত ১০ বছরে একই এলাকার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী, শাহীনের প্রতিপক্ষ মজনু ও তার পরিবারের কয়েকজন খুন হয়েছেন শাহীন গ্রুপের হাতে। এরপর থেকে শাহীনের ছেলে লিখন ও ফোরকানের নেতৃত্বে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি হয়। সেই গ্রুপের সঙ্গে নিহত শাহীনের প্রতিপক্ষ মজনুর পরিবারের বিরোধ চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে।
সূত্র জানায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বগুড়া পৌরসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে নিহত মজনুর ভাতিজা নাদিম ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু ফোরকান সেখানে নাদিমের বিপক্ষে মামুন নামের এক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। নিহতের পরিবারের দাবি, এ কারণেই ফোরকানকে খুন করা হয়।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ নাদিমকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু নাদিম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নিহত ফোরকানের মরদেহ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো মামলা দায়ের হয়নি। হত্যার শিকার ফোরকান দুটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিল। স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।